ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নিজের চেয়ার বাঁচানোর কঠিন লড়াই শুরু করতে হচ্ছে লিজ ট্রাসকে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডাউনিং স্ট্রিটের সতর্কতা সত্ত্বেও ব্রিটিশ সাংসদরা এই সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করতে পারেন। বলা হচ্ছে, ট্রাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন কনজারভেটিভ পার্টির একশোরও বেশি সাংসদ।
মাত্র একমাস আগেই ঋষি সুনককে হারিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন লিজ ট্রাস। তবে এরই মধ্যে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির ১০০ জনেরও বেশি সাংসদ ট্রাসের বিরুদ্ধে কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্র্যাডির কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে প্রস্তুত বলে দাবি করা হয়েছে ডেইলি মেল-এর।
উল্লেখ্য, কর ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন লিজ ট্রাস। তবে ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে ইউ-টার্ন নিতে হয়েছে। এরপরই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ৫০ শতাংশ সদস্য মনে করেন লিজকে ক্ষমতায় এনে তাঁরা ভুল করেছিলেন। মাত্র ১৪ শতাংশ মনে করেন যে লিজ ট্রাসই এই কাজের জন্য উপযুক্ত। এই আবহে ফের একবার ব্রিটিশ মসনদে রদবদল আসতে পারে।
এর আগে কর নীতি নিয়ে চাপের মুখে পড়ে নিজের অর্থমন্ত্রীকে কোয়াসি কোয়ারতেংকে সরিয়ে দেন লিজ। পরে জেরেমি হান্টকে চ্যান্সেলার পদে আনেন তিনি। এই জেরেমি একসময় ঋষিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। ট্রাস বিরোধী হিসেবেই তিনি পরিচিত। এই আবহে বিরোধী শিবিরের নেতাকে নিজের ক্যাবিনেটে জায়গা দিয়ে নিজের গতি ধরে রাখতে চাইছেন লিজ ট্রাস।