ভয়াবহ গরম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কারেন্ট অফ হচ্ছে মাঝেমধ্য়েই। দেশ জুড়ে চিত্রটা ঠিক কেমন একটু জেনে নিন।
গুজরাত- গুজরাতের উরজা বিকাশ নিগম লিমিটেডের দাবি, কয়লার সঙ্কটের জন্য কোনও লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি নেই গুজরাতে। খুব কৌশলে সবকিছু ম্যানেজ করা হচ্ছে।
বাংলা-গুজরাতের মতোই বাংলাতেও সাপ্লাইতে কোনও ঘাটতি নেই। সব দিক ঠিকঠাক ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে।রাজ্য়ের গড় চাহিদা ৯০০০ থেকে ৯২০০ মেগাওয়াট।
তামিলনাড়ু- তামিলনাড়ুতে অবশ্য মাঝেমধ্যেই লোডশেডিং হচ্ছে। গত সপ্তাহে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতি রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ- বড় লোডশেডিং নেই। তবে দিনের পিক টাইমে ১১,৮৭৫ মেগাওয়াট সাপ্লাই রয়েছে। সেখানে চাহিদা ১২,১৫০ মেগাওয়াট।
মহারাষ্ট্র- এখানে ৩,০০০ ওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি। এপ্রিল থেকেই মাঝেমধ্যে লোডশেডিং চলছে। মুম্বইয়ের একাংশ ও সংলগ্ন কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে।
ওড়িশা- এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকই বিদ্যুতের ঘাটতি ওড়িশায়। এনটিপিসির একটি ইউনিট বসে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ-এই রাজ্যেও রয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে কারেন্ট চলে যাচ্ছে।
ঝাড়খন্ড- মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়েছেন, পিক টাইমে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।
উত্তরপ্রদেশ-এখানে ৩ হাজার ওয়াটের ঘাটতি রয়েছে। এর জেরে গ্রামীণ এলাকায় ও ছোট শহলে লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা থাকছে।শহরাঞ্চলে প্রায় ২১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে।
বিহার- বিহারেও ২০০-২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।
পঞ্জাব- পঞ্জাবেও ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়েছে।এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ শুরু হয়ে গিয়েছে।
কাশ্মীর- রমজান মাসে চলছে টানা লোডশেডিং।
উত্তরাখণ্ড- এখানেও পাওয়ার ক্রাইসিস চলছে।
রাজস্থান-দিনে ৫-৭ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে।
হরিয়ানা- রোজকার চাহিদা ৮১০০ মেগাওয়াট। সেখানে ঘাটতি রয়েছে ৩০০ মেগাওয়াট।