দিমাসা উপজাতির বিশেষ ধরনের মদ, মণিপুরের কমলা থেকে লঙ্কা ইতিমধ্যেই জিওগ্রাফিকাল আইডেন্টিফিকেশন ট্য়াগ(জিআই) পেয়েছে। এদিকে এই খবরে এবার উৎসাহিত অসমের কাছারের আনারস চাষিরা। তাদের দাবি অসমের কাছারের মূলত লখিপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচুর আনারসের চাষ হয়। এখানকার আনারস স্বাদে, গুণে একেবারে অনন্য। অতিমারি পরিস্থিতির আগে আরব আমীরশাহীতেও এই ধরনের আনারস পাঠানো হত। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও এই আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে। এবার সেই আনারসকেই জিআই ট্যাগ দেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
প্রাক্তন বিধায়ক তথা স্থানীয় বাসিন্দা রাজদীপ গোয়ালা বলেন, অভিজ্ঞতার জন্য়ই গোটা দেশজুড়ে ঘুরেছি। এখানকার আনারসের সঙ্গে অন্য জায়গার আনারসের তুলনা করতে চেয়েছি। আমার বাবাও ছিলেন লখিপুরের এমএলএ। এই আনারসের বিপননের চেষ্টা করেছিলেন বাবা। চাষিরা যাতে যথাযL দাম পান তার চেষ্টা করতেন। আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বলছেন এখানকার আনারসে গুণমানে একেবারে সেরা।
এদিকে চলতি বছরের মে মাসে ‘মিশন পাইন অ্যাপেল’ বলে একটি কর্মসূচিও নিয়েছিল অসম সরকার। চলতি বছরে প্রায় আড়াই কোটি আনারসের রেকর্ড ফলন হয়েছে। এবার এখানকার আনারসের জিআই ট্যাগ চাইছেন উৎপাদকরা।কাছারে খাদ্য প্রস্তুতকারক ইউনিট করার দাবিও উঠতে শুরু করেছে। কৃষি দফতরের আধিকারিক এলআই সিং বলেন, জিআই ট্যাগের জন্য কিছু অনন্য বৈশিষ্ট থাকতে হয়। আমরা এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। হমার জনজাতির প্রতিনিধি আব্রাহাম কেইভম বলেন,বিপননের অভাবে কৃষকরা আনারসের দাম সঠিক পাচ্ছেন না।