ইন্ডিয়া জোট হয়েছে কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু আসন সমঝোতা নিয়ে জট সব রাজ্যেই দেখা যাচ্ছিল। আর তাতে অক্সিজেন পাচ্ছিল কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। তবে এবার ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। আর তাই অক্সিজেনের অভাব বোধ করতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতা–মন্ত্রীরা। অবশেষে এই ইন্ডিয়া জোট গতি পেতে শুরু করেছে। নানা রাজ্যে জোট নিয়ে জটিলতা কাটতে শুরু করেছে। আবার আসন বন্টন নিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এখন দেখার বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সমঝোতা হয় কিনা।
এদিকে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি এই সপ্তাহে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে ইন্ডিয়া ব্লকের প্রথম নির্বাচনী জয় এনে দিয়েছে। তারপর থেকেই জট কাটতে শুরু করেছে এবং গতি পাচ্ছে সর্বভারতীয় জোট। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যে আসন নিয়ে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লি, মহারাষ্ট্রেও জোট সম্পূর্ণ। গুজরাট, গোয়া এবং হরিয়ানার লোকসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগির চুক্তি চূড়ান্ত বলে সূত্রের খবর। এখান থেকে এবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা। বাংলায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ৪২টি আসনেই একা লড়বেন তখন নতুন করে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা খুলতে চাইছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ইএম বাইপাসে সংস্কারের কাজ হতে চলেছে, প্রবল যানজটে ভুগতে চলেছে নগরবাসী
অন্যদিকে বিজেপিকে হারাতে গেলে ইন্ডিয়া জোট মজবুত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সেটা বুঝতে পেরেই আসন সমঝোতা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস যেমন নমনীয় হয়েছে তেমন অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলিও সামান্য দর কষাকষি করেই আসন সমঝোতা করে নিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন। মোট ৮০টি আসন নিয়ে সপা এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট চূড়ান্ত হয়েছে। ৬৩টি আসনে লড়বে সপা এবং ১৭টি আসনে লড়বে কংগ্রেস। এখানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই জোট সম্ভব হয়েছে। কংগ্রেস ২০টি আসন দাবি করেছিল। যা দিতে নারাজ ছিল সপা। তারপর আসরে নামেন প্রিয়াঙ্কা। জোট সম্পন্ন।
এছাড়া মধ্যপ্রদেশেও সপা–কংগ্রেস জোট সম্পন্ন হয়েছে। কংগ্রেস সেখানে একটি আসন সপা–কে ছাড়তে রাজি হয়েছে। সুতরাং হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এখানে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে রামমন্দির হয়েছে। তারপর এটাই দেখার ফলাফল কেমন হয়। আম আদমি পার্টির সঙ্গেও জোট চূড়ান্ত হয়েছে। নয়াদিল্লিতে ৪টি আসনে লড়বে আপ। আর বাকি ৩টিতে কংগ্রেস। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধী জোটের স্বার্থে নমনীয় হতে বলেছেন কংগ্রেস নেতাদের। আর আবেগের সঙ্গে জড়িত আহমেদ প্যাটেলের গড়ে তাঁর ছেলে এবং মেয়েকে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে আপ–কে অনুরোধ করেছেন। রাহুল গান্ধী মহারাষ্ট্রে শিবসেনার (ইউবিটি) নেতা উদ্ধবের সঙ্গে কথা বলে আসন রফা চূড়ান্ত করেছেন। আগামী ২৭ অথবা ২৮ তারিখ তা প্রকাশ্যে চলে আসবে। এবার বাংলায় আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ করতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।