অরুণ দেব
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পা শুক্রবার জানিয়ে দিলেন গেরুয়া শিবির ও জনতা দল সেকুলার ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে জোট বেঁধেছে।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, দুই দল আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সিদ্ধান্তে এসেছে। জেডিএস চারটি আসন পাচ্ছে। সম্প্রতি জেডিএস নেতা এইচডি দেবেগৌড়া বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তখনই এনিয়ে কথাবার্তা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও তিনি আলোচনায় বসেছিলেন।
তিনি বলেন, দেবেগৌড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। অমিত শাহের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছিলেন। চারটি আসন সমঝোতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী লোকসভা ভোটে ২৭টি আসনে জেতার ক্ষেত্রে এই জোট কার্যকরী হবে। দিল্লিতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা আমরা মেনে চলব। তবে এই মিটিং কবে হয়েছিল তা নিয়ে ইয়েদুরিয়াপ্পা কিছু বলেননি।
তবে যে আসনগুলিতে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সেখানকার আসন কোনওভাবেই ছাড়া হবে না জেডিএসকে। ইয়েদুরিয়াপ্পা জানিয়েছেন, আসন নিয়ে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। একবার সব কিছু চূড়ান্ত হলেই আমি হাই কমান্ডের সঙ্গে কথা বলব। আমি এইচডি দেবেগৌড়া ও এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে কথা বলব। তবে বিজেপি যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সেই আসন গুলি চাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। আমি মনে করি না যে তারা বিজেপির জেতা আসন চাইবেন।
এদিকে গত বিধানসভাতেও তো জেডিএসের সঙ্গে বিজেপির তিক্ততা একেবারে চরমে গিয়েছিল। তা নিয়ে ইয়েদুরিয়াপ্পা বলেন, এটা রাজনীতিতে খুব সাধারণ বিষয়। এই ধরনের পরিস্থিতি হতেই থাকে। তবে হাই কমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটা মেনে চলতে আমরা বাধ্য। আমি এই জোটকে ব্যক্তিগতভাবে আহ্বান করছি।
এদিকে গত লোকসভাতে জেডিএস কেবলমাত্র হাসান আসনটি পেয়েছিল। সেটা পেয়েছিলেন দেবেগৌড়ার নাতি। এদিকে ২০১৮ -১৯ সালের হলফনামায় মিথ্যে তথ্য় দেওয়ার অভিযোগে তাঁর সাংসদ পদ কার্যত সুতোর উপর ঝুলছে। তাঁর সাংসদ পদ খারিজও হয়ে যেতে পারে।
মনে করা হচ্ছে বেঙ্গালুরু গ্রামীণ, হাসান, কোলার ও চিক্কাবাল্লাপুরা আসন তারা চাইতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত জেডিএস কী চায় সেটাই এখন দেখার।