ভারতে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১৩০০০ কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত পলাতক হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর আত্মহত্যার ঝুঁকির মাত্রা কতটা? তা বোঝার জন্য লন্ডনের হাইকোর্ট দুই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের যুক্তি শুনছে। বিচারপতি জেরেমি স্টুয়ার্ট স্মিথ এবং বিচারপতি রবার্ট জে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ফরেস্টার এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক সিনা ফাজেলের কাছ থেকে তাদের যুক্তি শুনছেন।
নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণ নিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে কোন সুর?
দুজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ স্বীকার করেছেন, নীরবের আত্মহত্যার ঝুঁকি তৈরি রয়েছে। ওই দুই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লন্ডনের জেলে নীরবের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের নীরব মোদী বলেছিলেন, ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলে তিনি কেবল খুন এবং আত্মহত্যার কথা ভাববেন। তিনি আশঙ্কা করছেন ভারতের কারাগারে তিনি মারা যেতে পারেন। এই সব কারণে তিনি অবসাদে ভুগছেন। তার অসুস্থতা এতটাই গুরুতর যে তাকে দুবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, মামলার শুনানিতে ফরেস্টার ভারতের কারাগারের অবস্থা নিয়েও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সেখানে বন্দিদের ঠিকমতো যত্ন করা হয় না। তাছাড়া, ভারতের জেলে আত্মহত্যা রোধ করার কোনও ব্যবস্থা নেই। যদিও ভারত সরকারের পক্ষে আইনজীবী হেলেন ম্যালকম কেসি আদালতকে জানান, ভারতের জেলে নীরব নিজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে পরিবারের সঙ্গেও সপ্তাহে একবার তিনি দেখা করতে পারবেন। পাশাপাশি তিনি যাতে আত্মহত্যা করতে না পারেন তারজন্য জেলে নজরদারি চালানো ছাড়াও, সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভারতের তরফে আইনজীবী জানান।