কৃষক আন্দোলনের জন্য দৈনিক বড় অঙ্কের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। সংসদে পেশ করা তথ্যে তিনি জানান, হাইওয়েগুলির টোল প্লাজা থেকে অর্থ উপার্জন না হওয়ায় ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আনুমানিক ১.৮ কোটি টাকা দিনে লোকসান হয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লিতে টোল আদায় করা যায়নি। তার প্রেক্ষিতেই সরকারকে এই লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে তথ্য দিয়ে নীতীন গড়কড়ি বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে টোল আদায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিন কৃষক আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন টোল আদায়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টোল প্লাজাগুলি কাজ করতে পারছে না বলেই আয় হচ্ছে না। তার জেরে ১.৮ কোটি টাকা দিনে লোকসানের মুখ দেখেছে সরকার।’
ক্রেডিট রেটিং সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কৃষক আন্দোলনের জেরে মোট ৬০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লি লাগোয়া এলাকায় লাগাতার আন্দোলন হয়েছে। ফলে টোল ট্যাক্স আদায় কার যায়নি। তার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই তিন এলাকা মিলিয়ে মোট ৫২টি টোল প্লাজা রয়েছে। এছাড়া রাজ্য সড়কগুলির লোকসান বাড়তি রাজস্ব ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজেশ বারলা।