গার্হস্থ্য হিংসা আইনের অপব্যবহার করে স্বামীকে ফাসাতে চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন দুঃখ প্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন মন্তব্য করলেন, 'বহু পুরুষকে নীরবে পারিবারিক হিংসা সহ্য করতে হয় দিনের পর দিন। তা সত্ত্বেও দুঃখের বিষয়, গার্হস্থ্য হিংসা আইনের মতো এমন কোনও আইন নেই যার সাহায্যে নির্যাতিত স্বামীরা নিজেদের স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।'
উল্লেখ্য, গার্হস্থ্য হিংসা সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে গত ২০১৫ সাল থেকে। সেই মামলায় অভিযোগের তির ছিল চেন্নাইয়ের অ্যানিমাল হাজব্যান্ড্রি অ্যান্ড ভেটেরিনারি সার্ভিসের প্রাক্তন অফিসার ডঃ পি শশীকুমারের বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রীয়ের অভিযোগ ছিল, শশীকুমারের দ্বারা পারিবারিক হিংসার শিকার তিনি। এই অভিযোগের পর শশীকুমারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এই মামলার রায়দানের সময়ই বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'শশীকুমারকে অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছে, দেশের আইনের সুযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী।'
প্রসঙ্গত, গার্হস্থ্য হিংসা আইনের মাধ্যমে স্ত্রীরা তাঁদের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবেন। তবে এই উলটোটা সম্ভব নয়। কোনও স্বামী যদি নির্যাতিত হন, সে ক্ষেত্রে এই আইনের প্রয়োগ করে তিনি তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারবেন না। তাই বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দেন বিচারপতি এশ বৈদ্যনাথন।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলে শশীকুমার ও তাঁর স্ত্রীয়ের মধ্যে। পরে আদালত বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিলে শশীকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন তাঁর স্ত্রী। বিতারপতি সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এধিন বলেন, 'প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই স্ত্রী গার্হস্থ্য হিংসা আইন ব্যবহার করছেন।' পাশাপাশি বিচারপতি চেন্নাইয়ের অ্যানিমাল হাজব্যান্ড্রি অ্যান্ড ভেটেরিনারি সার্ভিসকে হুকুম দেন যাতে ১৫ দিনের মধ্যে শশীকুমারকে আবার কাজে নিয়োগ করা হয়।