ভারতীয় ধর্মদ্রোহিতা নিরোধক আইনের বলে কোনও ব্যক্তি যদি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেন তবে তিনি শাস্তি পেতে পারেন। তবে এনিয়ে বিতর্কও কিছু কম হয়নি। বার বার দাবি তোলা হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে। তবে এসবের মধ্যেই মাদ্রাজ হাইকোর্ট বিশেষ রায়ে একজন কৌতুক অভিনেতা ও একজন ধর্মীয় প্রচারকের মধ্যে ফারাক নির্দিষ্ট করে দিল।
আদালত জানিয়েছে, যখন মনোয়ার ফারুখ কিংবা আলেকজান্ডার বাবু মঞ্চে অভিনয় করেন তখন তাঁরা মজা করার জন্য় তাঁদের মৌলিক অধিকারকে প্রয়োগ করেন। তখন তাঁরা কোন ধর্মের এটা অপ্রাসঙ্গিক। আসলে কথাটা কে বলছেন আর কোথায় বলছেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ২৯৫ এ ধারা প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। কারণ ঘৃণা ছড়ানোর জন্য এসব কথা বলা হচ্ছে না। শুধু কৌতুকের ছলে তিনি একথা বলছেন। এই কমিকে কাউকে খোঁচা দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এটার পেছনে কাউকে আঘাত দেওয়ার অভিপ্রায় থাকে না। এটা শুধুই মজার।
এর সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে কোনও প্রচারক যদি কোনও অপমানজনক বক্তব্য রাখেন তবে তিনি ওই আইনের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ পাবেন না। তাঁর কোনওভাবেই অন্যের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অধিকার নেই। তাঁকে কোনওভাবেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হবে না।
আসলে ওই মামলায় একজন ক্যাথলিক প্রচারক কন্যাকুমারীতে খালি পায়ে যাঁরা যাচ্ছিলেন তাঁদের সম্পর্কে কটাক্ষ করেছিলেন। ভূমাদেবী ও ভারত মাতাকে তিনি ইনফেকশনের সোর্স হিসাবে কটাক্ষ করেন। এরপর তাঁকে ফৌজদারি মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার আবেদন তিনি করেছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়।