তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র জ্ঞানভাপি মসজিদ নিয়ে চলমান বিতর্ক নিয়ে একটি ‘মিম’ পোস্ট করে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়লেন। তৃণমূল সাংসদ গম্বুজ আকার ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের একটি ছবি পোস্ট করেন গতকাল। অবশ্য মহুয়া মৈত্রের আগেও ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের কাঠামো নিয়ে টুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জওহর সরকার। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘শীঘ্রই ভক্তরা ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রকে এক বিশাল শিবলিঙ্গ বলে আখ্যা দেবেন।’ (আরও পড়ুন: সওয়াল-জবাব শুরুর আগে অসুস্থ হিন্দু পক্ষের আইনজীবী, SC-তে পিছল জ্ঞানবাপী শুনানি)
এদিকে এদিন মহুয়া মৈত্র টুইট করে লেখেন, ‘আশা করি এরপরে ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে খননকার্য চালানো হবে না।’ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় একটি পাথর ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই আবহে বারাণসী আদালতের নির্দেশে সিল করা হয় জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানা। উল্লেখ্য, পাঁচজন মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদকে হিন্দু মন্দির দাবি করে পুজো করার অনুমতি চেযে আবেদন করেছিলেন বারাণসীর আদালতে। এরপর আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। বিতর্ক সত্ত্বেও সেই সমীক্ষা সম্পন্ন হয়। আজকে সেই সমীক্ষা রিপোর্টও জমা পড়ে আদালতে।
প্রসঙ্গত, দুই দিন আগে সমীক্ষা চলাকালীন জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় একটি পাথর পাওয়া যায় বলে দাবি ওঠে। সেই পাথর নিয়ে মামলা রুজু হয়েছিল আদালতে। মামলাকারীর দাবি, সেই পাথর আদতে শিবলিঙ্গ। সেই মামলা দায়েরের পরই আদালতের তরফে মসজিদের ওজুখানা সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পাথর শিবলিঙ্গ নয় বরং এটি ফোয়ারা। এরপর এই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। অপরদিকে বারাণসীর আদালতের নিযুক্ত কমিশনার আজকে জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছে আদালতে।