স্বার্থ, সম্পত্তি, বৈভব, অর্থ নিয়ে যখন অনেকের রাতের ঘুম উড়ে যায়, তখন মালয়েশিয়ার ধনী পরিবারের মেয়ে অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস অন্য মেরুতে দাঁড়িয়ে একটি উদাহরণ হয়ে রইলেন। এই ঘটনা অ্যাঞ্জেলিন ও তাঁর প্রেমিক জেদিদিয়ার। যে জেদিদিয়াকে বিয়ে করার জন্য নিজের পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ছেড়ে দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিন। অ্যাঞ্জেলিনের এই দৃঢ় মনোভাব গোটা বিশ্বের কুর্নিশ কুড়োচ্ছে। নেটপাড়ায় তাঁর এই সিদ্ধান্ত ঘিরে সাধুবাদের ছড়াছড়ি!
অ্যাঞ্জেলিন মালয়েশিয়ার শুধু ধনী পরিবারেরই সন্তান নন, তাঁর পরিবার সেখানের অন্যতম প্রভাবশালী একটি পরিবার। অ্যাঞ্জেলিনের বাবা খু কে পেং হলেন মালয়েশিয়ার অন্যতম 'বিজনেজ টাইকুন'। তাবড় এই শিল্পপতির মেয়ে প্রেমে পড়েছিলেন অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করতে গিয়ে। প্রেমের কথা বাড়িতে বলতেই অ্যাঞ্জেলিনের বাবা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যে অ্যাঞ্জেলিন কোনটাকে বেছে নিতে চান? প্রেম, নাকি পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকার। জবাবে অ্যাঞ্জেলিন সাফ জানিয়েছেন, তিনি প্রেমকেই আগে রাখবেন। ঘটনা কোনও ফিল্মের চিত্রনাট্যের থেকে কম নয়। এদিকে, অক্সফোর্ডে পড়াকালীন অ্যাঞ্জেলিনের সঙ্গে প্রেম হয় জেদিদিয়ার। জেদিদিয়ার পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি, অ্যাঞ্জেলিনের পরিবারের আর্থিক সঙ্গতির থেকে অনেকটাই আলাদা। অ্যাঞ্জেলিনরা আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে। সেই দিক থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনের বাবা। আপত্তি তুলেছিলেন মেয়ের সঙ্গে জেদিদিয়ার বিয়ে নিয়ে। কোটি কোটি টাকার পারিবারিক সম্পত্তি পাওয়ার হাতছানিকে ফুৎকারে উড়িয়ে অ্যাঞ্জেলিন জেদিদিয়ার প্রেমকে বেছে নেন। পরিবারের যাবতীয় সম্পত্তি তিনি ছেড়ে দেন।
( Tips to clean glassware: বাড়ির কাঁচের বাসন রেস্তোরাঁর মতো ঝকঝকে হবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে! রইল টিপস)
পরিবারের থেকে বহু দিন দূরে থাকার পর, ফের একবার মালয়েশিয়া থেকে ডাক আসে অ্যাঞ্জেলিনের। সেবার তাঁর বাবা মায়ের ডিভোর্সের জন্য কোর্টে উঠতে হয় অ্যাঞ্জেলিনকে। মায়ের স্বার্থ ত্যাগ করে সংসার রক্ষা আর বাবার পরিশ্রমের দ্বারা আর্থিক রোজগারের যাবতীয় তথ্য তিনি তুলে ধরেন কোর্টের সামনে।
এদিকে, বিশ্ব জুড়ে অ্যাঞ্জেলিনের তাবড় সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেকেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন এমন এক সিদ্ধান্ত ঘিরে। এ যুগে যখন হানাহানি, যন্ত্রণা, অপরকে রুখে দিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির খেলায় বারবার শোষণের কষ্ট উঠে আসে নানান খবর থেকে, তখন অ্যাঞ্জেলিনের মতো মানুষরা বিশ্বকে উদ্বুদ্ধ করে। যাঁরা আবেগ খরচ করে পথ হাঁটতে ভালোবাসেন, যাঁরা জীবনে স্রেফ টিকে থাকার থেকে সুখে থাকাকে বেশি পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে অ্যাঞ্জেলিন একটি উদাহরণ!