অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছল ম্যামথ ট্রাক। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে কেরালার তিরুবনন্তপুরমে ১,৭০০ কিমি পথ পাড়ি দিতে অতিকায় ট্রাকটির সময় লেগেছে ১০ মাস।
৭৪টি টায়ারে ভর করে ৭০ টন ওজনের বিশাল এই যান শামুকের গতিতে অতিক্রম করেছে পাঁচটি রাজ্য। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার তিরুবনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছেছে মহাকাশ অভিযানের উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। বলা ভালো, সাধারণ ট্রাকের এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ৫ দিন।
বিশালবপু ট্রাকটির চলাচলের সুবিধায় গত কয়েক মাস ধরে সারানো হয়েছে সড়কের অসংখ্য ফাটল ও গর্ত, অতিরিক্ত গার্ডার লাগিয়ে মজবুত করা হয়েছে একাধিক সেতু এবং ট্রাক চলার পথে বাধা সৃষ্টিকারী গাছ কেটে ও বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে ফেলা হয়। ট্রাকটি চলার সময় রাস্তায় অন্য কোনও যান চলতে দেওয়া হয়নি। গোটা সফর পুলিশ এসকর্টের কড়া পাহারায় থেকেছে এই দানবীয় যান।

২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর নাসিক থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ভলভো এফএম সিরিজের ম্যামথ ট্রাক। মাঝে লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েন বলে জানিয়েছেন পরিবহণ সংস্থার কর্মী সুভাষ যাদব। ওই সময় অন্ধ্র প্রদেশে প্রায় একমাস আটকে পড়ে ট্রাকটি। পরে সংস্থার হস্তক্ষেপে ফের যাত্রা শুরু করে বিশালাকার যান। ইঞ্জিনিয়ার ও মেকানিক-সহ প্রায় ৩০ জনের সহায়ক দল গোটা যাত্রাপথে সঙ্গী হয় ট্রাকের।
ট্রাকের পিছনে জুড়ে দেওয়া মূল যন্ত্রের উচ্চতা ৭.৫ মিটার, প্রস্থ ৭ মিটার। তাকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রেলারের স্যাসি অনেক বেশি শক্তিশালী করতে হয়েছিল। অনেক জায়গায় অতিকায় যানের জন্য রাস্তা চওড়া করতে হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এরই মধ্যে কেরালায় এক প্রবীণা এসে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন, মহাকাশে রকেট পাঠানোর পরিবর্তে বরং কোভিড প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে মনোযোগী হোক সরকার। এমনই জানিয়েছেন ট্রাকের সফরসঙ্গী দলের প্রতিনিধিরা।
ট্রাক পৌঁছলেও প্রচণ্ড ভারী অটোক্লেভটি এখনই নামানো সম্ভব হয়নি হলে জানিয়েছেন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের আধিকারিকরা। এই যন্ত্রের সাহায্যে মহাকাশযাত্রার উপযোগী বিশাল মাপের এরোস্পেস পণ্য তৈরি করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, চলতি মাসেই কিছু রদবদলের পরে যন্ত্রটি কাজে লাগানো হবে।