হাওয়াই চটি চুরির অভিযোগে এবার এক ব্যক্তিকে মারধর করে খুনের অভিযোগ উঠল একই পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরপ্রদেশের বরেলির বিহারিপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তাঁদের বাড়ির হাওয়াই চটি চুরি করে নিয়েছে। অভিযোগ, পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের ভিতরে থাকার সময় ওই হাওয়াই চটি চুরি হয়। আর তার জেরেই এই মারধর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কিষেণ পাল। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁকে প্রবল মারধরের পর গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তখনই তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সেখানে পৌঁছতেই তাঁর চিকিৎসকা শুরু হয়। পরের দিনই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। ঘটনার পরই পুলিশ পদক্ষেপ করে। মঙ্গলবার কিষেণ পালের মৃত্যুর পর ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য শুরু হয়। ঘটনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জানিয়েছে,' এফআইআর-এ যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ধরতে আমরা পদক্ষেপ করছি। তাঁরা গ্রাম থেকে পালিয়েছেন। কিষেণ পালের দেহ তাঁর পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। পোস্ট মর্টেমে ধরা পড়েছে যে প্রবল মারধরের ফলে আগাতের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা আশা করছি তাঁদের গ্রেফতার করতে পারব।' রিপোর্ট বলছে, কিষেণ পাল মানসিকবাবে ভারসাম্যহীন। তিনি ওই মন্দিরে প্রবেশের মুখে দাঁড়িয়েছিলেন। যেখানে সকলে চটি জুতো ছেড়ে দিয়ে এগোচ্ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কিষেণ। অভিযোগে জানানো হয়েছে, এই হত্যার ঘটনায় ৪০ বছর বয়সী কুন্তিদেবীর নাম উঠে এসেছে। তিনিই অভিযোগ তোলেন মন্দির থেকে বেরিয়ে কিষেণ পালের বিরুদ্ধে। ( দিল্লিতে অটোরিক্সায় অ্যান্টনি ব্লিনকেন! হাইভোল্টেজ বৈঠকের দিন উঠে এল কী কী ছবি?)
কুন্তিদেবী তাঁর হাওয়াই চটি খুঁজে না পেয়ে অভিযোগ তোলেন তা চুরির। আর সেই চুরি কিষেণ পাল করেছেন বলে দাবি করেন। কারণ কিষেণ পাল সেখানে তখন দাঁড়িয়েছিলেন। এরপরই শুরু হয় কিষেণ পালকে মারধর। সেখান থেকে মারধরের জেরে পালাতে চেয়েছিলেন কিষেণ পাল। তবে তাঁকে সেখানে ধরে মারধর করা হয় ব্যাপক। তাঁকে বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয়। তখনই গুরুতর আহত হন কিষেণ পাল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup