কঠোর লকডাউন-বিধি নাকি ভেঙেছিলেন। সেই অভিযোগে এক যুবকের ফোন মাটিতে আছড়ে ফেলে দেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। মারেন থাপ্পড়ও। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তড়িঘড়ি ক্ষমা চেয়ে নিলেন ওই ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের সুরজপুরের।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, লকডাউনের মধ্যে এক যুবককে আটকেছেন সুরজপুরের কালেক্টর রণবীর শর্মা এবং পুলিশকর্মীরা। পরে নিজের গাড়ির দিকে এগিয়ে যান ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। কিন্তু গাড়িতে না উঠে ফিরে আসেন। যুবকের থেকে ফোন চেয়ে তা মাটিতে আছড়ে ফেলেন। সঙ্গে সপাটে থাপ্পড় মারেন। তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীদেরও ওই যুবককে মারতে বলেন। লাঠি দিয়ে যুবককে কয়েক ঘা মারতেও দেখা যায়।
সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়, ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। কাগজ দেখানো সত্ত্বেও তাঁকে মারা হয়েছে। একটি অংশ থেকে আবার দাবি করা হয়, ১৩ বছরের ছেলেকে থাপ্পড় মারা হয়েছে। ওই ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরকে সাসপেন্ড করার দাবি ওঠে। কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের জন্যও সরব হন।
যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। তিনি বলেন, ‘ওই যুবক টিকাকরণের জন্য বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও উপযুক্ত কাগজপত্র ছিল না। পরে তিনি বলেন যে ঠাকুমার কাছে যাচ্ছেন। বাজে ব্যবহার করতে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল, তারপর থাপ্পড় মেরেছি। ওঁর বয়স ২৩ বা ২৪, ১৩ নয়।’ পরে আরও একটি বিবৃতি জারি করে রণবীর দুঃখপ্রকাশ করেন। বলেন, 'আমি আজকের ব্যবহারের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। ভিডিয়োর যুবককে অসম্মান বা ছোটো করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না আমরা।' সেইসঙ্গে দাবি করেন, তাঁর পরিবারের সকলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর মা এখনও করোনায় আক্রান্ত।