এবার থেকে মণিপুরের রাজ্যসরকারি সরকারি অফিসগুলি সপ্তাহে ৫ দিন খোলা থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন। তবে যাবতীয় আপৎকালীন পরিষেবাকে অক্ষত রেখে তবেই এই ছুটি লাগু হবে। উল্লেখ্য, মণিপুরে সদ্য বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করে বীরেন সিংয়ের সরকার মসনদ দখল করেছে দ্বিতীয়বারের জন্য। আর ওই জয়ের পর নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার ঘোষণা কার্যত সুখবর এনে দিয়েছে রাজ্যসরকারী কর্মীদের জন্য।
শুধু রাজ্যসরকারি দফতরের সাপ্তাহিক ছুটিই নয়, নয়া ঘোষণায় জানানো হয়েছে, মণিপুরের সমস্ত রাজ্যসরকারি দফতর সকাল ৯ টা থেকে চালু হবে। এদিকে স্কুলের ক্ষেত্রেও এসেছে নয়া সময়সূচি। বীরেন সিং মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, রাজ্যের স্কুলগুলির শুরুর সময়সূচি সকাল ৮ টা থেকে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, 'স্কুল টাইমিং এর সঙ্গে হোম ম্যানেজমেন্টের ভারসাম্য রেখে, ট্রাফিক কমাতে, স্কুলের টাইমিং বদলে সকাল ৮ টা করা হচ্ছে।' এদিকে, এক প্রেস বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে, নয়া নিয়মের ফলে রাজ্যসরকারী কর্মীদের জীবনধারণে খানিকটা সুখ আসবে। তাঁরা স্বস্তিতে কাজকর্মে মনোনিবেশ করতে পারবেন বলেও জানাচ্ছে সরকার। এছাড়াও স্কুলের সময়সূচিতে বদলের ফলে পড়ুয়ারা বিকেলে খেলার সময় পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রেস বিবৃতিতে। এদিকে, মণিপুর বিধানসভার জন্য স্পিকার নির্বাচনের তারিখ ও সময় নির্ধারণের জন্য মণিপুরের রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ করার অনুমোদনের বিষয়টিও মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে স্থির করা হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যপালকে বিধানসভার প্রথম অধিবেশন ডাকার অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিনটি ২৪ মার্চ হিসাবে ধার্যকরা হয়, সময়কাল সকাল ৯ টা।
এছাড়াও প্রথম এই মন্ত্রিসভার বৈঠকে, মন্ত্রিসভা '১০০ দিনের মধ্যে ১০০ টাস্ক' কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছে। যা নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে এটি অর্জনের জন্য সরকারের সামনে নির্ধারিত বিভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত, নির্মাণ কাজের পাশাপাশি পদ্ধতিগত উন্নতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও মণিপুরকে দুর্নীতি মুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নয়া সেল তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যার প্রধান হবেন পুলিশের অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেডেন্ট পর্যায়ের কোনও অফিসার। শক্তি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে অ্যান্টি নারকোটিক্স ডিভিশনেও। ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের লাভ যাতে সমস্ত জনমানসে পৌঁছে যায়, তার বিষয়েও সচেতন থাকার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্কিম নির্দেশিকাগুলির সুবিধাভোগীদের অগ্রিম অর্থ প্রদানের জন্য একটি কর্পাস তহবিল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।