প্রচন্ড বিরক্ত লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুধু বিরোধী নয়, শাসকদলের উপরেও তিতিবিরক্ত স্পিকার। আর তার জেরেই এবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আইনপ্রণেতারা যদি সংসদের মর্যাদা রক্ষা করে আচরণ না করেন তবে তিনি আর সংসদে আসবেন না। তুমুল হট্টগোলের জেরে কার্যত আসতে চাইছেন না ক্ষুব্ধ স্পিকার। সূত্রের খবর।
এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বুধবার তুমুল হট্টগোল চলছিল সংসদে। কিন্তু সেখানে স্পিকার উপস্থিত ছিলেন না। বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে প্রতিবাদে সামিল হন। দুপুর ২টো পর্যন্ত সংসদ মুলতুবি রাখা হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মণিপুর ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে হবে এই দাবিতে উত্তাল হয় সংসদ। এদিন বিরোধী সাংসদরা তুমুল হইহট্টোগোল শুরু করে দেন। সংসদের নিম্নকক্ষের কাজকর্ম মুলতুবি রাখা হয়। এদিকে দিনের পর দিন ধরে এই মণিপুর ইস্যুকে কেন্দ্র করে হট্টগোল হচ্ছে লোকসভায়।
বিজেপি সদস্য কিরিত সোলাঙ্কি বার বার বিরোধীদের কাছে আবেদন করেন আপনারা সভার শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা কানে নেননি। এরপরই এই দিনের মতো সভার কাজ মুলতুবি রাখা হয়।
এদিকে এদিনের হইহট্টোগোলের জেরে সভার কাজও লাটে ওঠে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে এদিন আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু সেই কাজ এদিন আর করা যায়নি।
এদিকে এই হট্টগোল পরিস্থিতির জেরে লোকসভার স্পিকার কার্যত ভীষণভাবে বিরক্ত। এমনটাই সূত্রের খবর। আসলে স্পিকার চাইছেন সংসদের মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে। কিন্তু দিনের পর দিন ধরে সংসদের অন্দরে হট্টগোল হচ্ছে। ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই এই পরিস্থিতি। সংসদের কাজকর্ম কার্যত লাটে উঠছে।
রাজ্যসভাতেও কার্যত একই ছবি। সেখানেও বিরোধীরা বার বার দাবি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সংসদে উপস্থিত হয়ে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বিবৃতি জারি করতে হবে। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, আমি যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এখানে আসার জন্য নির্দেশ জারি করি তবে সেটা আমার শপথ ভঙ্গের সামিল হবে। তিনি জানিয়েছেন অতীতেও এই চেয়ার থেকে এরকম কোনও নির্দেশ কোনও দিন জারি করা হয়নি। ধনখড় জানিয়েছেন, তিনি যদি আসতে চান অন্যান্যদের মতো তবে সেটা তাঁর ব্যাপার। আমি এই চেয়ার থেকে এই নির্দেশ দিতে পারব না, অতীতেও এমন নির্দেশ এই চেয়ার থেকে দেওয়া হয়নি।