গত বাদল অধিবেশনেই ব্রিটিশ জমানার আইপিসি এবং সিআরপিসির বদলে 'ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা', 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল' এবং 'ভারতীয় সাক্ষ্য বিল' এনেছিলেন কেন্দ্রীয় সবরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বিলটিকে আলোচনার জন্য পাঠনো হয়েছিল সংসদের স্থায়ী কমিটির কাছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই তিন বিলে বেশ কয়েকটি সংশোধন করা হয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনে ফের সেই বিল পেশ হবে সংসদে। সংসদে এই সংক্রান্ত তিনটি পাশ হলে দেশের আইন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। মহিলা এবং শিশু সুরক্ষার বিষয়ে বেশি নজর দিয়ে এই সব পরিবর্তন করা হয়েছে। অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করার বিষয়টি দেখা হয়েছে। সেই বিলেই বলা হয়েছে, মহিলাদের মানসিক নির্যাতন করা হলে তা এখন থেকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। (আরও পড়ুন: ছিল সুপারিশ, ন্যায় সংহিতায় কি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে পরকীয়া ও সমকামী যৌনতা?)
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত BJP বিধায়ক, পাঠানো হল জেলে
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলের ৮৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, মানসিক ভাবে যন্ত্রণা দেওয়ার বিষয়টিকে গার্হস্থ্য হিংসার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বলা হয়েছ, স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কোনও ইচ্ছাকৃত ব্যবহারে যদি কোনও মহিলা আত্মহত্যা করেন বা তিনি শারীরিক ভাবে গুরুতর ভাবে আঘাত পান, তাহলে তা নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়া যদি শ্বশুরবাড়ির আচরণে কোনও মহিলার মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যের হানি হয়, তাহলেও তা নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করা হবে। (আরও পড়ুন: বিরোধীদের আপত্তি, তাও রাজ্যসভায় পাশ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, কী বলা আছে তাতে?)
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনা মেয়েকে বাঁচাতে ইয়েমেনে যাবেন মা, অনুমতি দিল HC
এদিকে নয়া বিধানে নাবালিকা ধর্ষণের দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হবে। এছাড়া গণধর্ষণের ক্ষেত্রে সাজা ২০ বছর থেকে আজীবন এবং গণধোলাইয়ের ক্ষেত্রে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড। এদিকে ৯০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করতে হবে পুলিশকে। শুধুমাত্র আদালত বললে তবেই চার্জশিট দাখিল করার জন্য আরও ৯০ দিন পাবেন তদন্তকারীরা। পুলিশকে এই নতুন আইনের অধীনে ১৮০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। এছাড়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে বলা হয়েছে, ধর্ষিতা বা যৌন হেনস্থার শিকার কারও পরিচয় আদালতের নির্দেশ ছাড়া সর্বসমক্ষে প্রকাশ করলে দোষীর ২ বছরের জেল হতে পারে।