নয়াদিল্লি থেকে ফেরার পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা না করায় আত্মীয়দের বেধড়ক পিটুনিতে মারা গেলেন বরেলির যুবক।
গত ১৯ মে নয়াদিল্লি থেকে বিজনোরের মালকপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরেন বছর তেইশের পরিযায়ী শ্রমিক মনজিৎ সিং। বাড়িতে ফেরার পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করাতে জোর করতে থাকেন মনজিতের দুই তুতো ভাই কপিল ও মনোজ। কিন্তু অনেক পীড়াপীড়িতেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন দিল্লিফেরত শ্রমিক।
গত বৃহস্পতিবারও ফের তাঁকে পরীক্ষা করানোর জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন দুই ভাই। এবারও তিনি রাজি না হলে তিন জনের মধ্যে বচসা বাধে। উলটে দুই ভাইকে ঠাকুমার চিকিৎসা না করানোর জন্য দোষারোপ করেন মনজিৎ।
এর পরেই কপিল ও মনোজ লাঠি দিয়ে মনজিৎকে মারধর করতে শুরু করেন। মাথায় ও কাঁধে গপরপতর চোট পেয়ে জ্ঞান হারান মনজিৎ। অচৈতন্য ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন মনজিতের বাবা-মা। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার সময় গত শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুতে মনোজ, কপিল, তাঁদের মা পুনিয়া এবং মনোজের স্ত্রী ডলির বিরুদ্ধে নাহতৌর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মনজিতের বাবা কল্যাণ সিং। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন নাহতৌর থানার প্রধান আদিকারিক সত্য প্রকাশ সিং।
বিজনোরের এসপি সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি থেকে ফেরার পরে মনজিতের থার্মাল স্ক্রিনিং হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেই কারণে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বিজনোরের প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিক বিজয় যাদব।