সপ্তর্ষি দাস
নারী শক্তি অধিনিয়ম। মহিলা সুরক্ষা বিলকে এই নামেই ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্নকক্ষে তিনি জানিয়ে দিলেন, এই নারী শক্তি অধিনিয়মের যে পথচলা এটা ভারতের সংসদের ইতিহাসে একটা স্বর্ণময় মুহূর্ত।
তিনি জানিয়েছেন গতকাল ছিল ভারতের সংসদে যাত্রাপথে একটা সোনালী মুহূর্ত। সংসদের প্রতি সদস্য, সমস্ত রাজনৈতিক দল তার শরিক। এই বিলকে সমর্থন করার জন্য় সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গতকাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর রাজ্যসভাতেA আজ বিলটি পাশ করা হল। ভারতে নারী শক্তির মাধ্যমে উন্নয়নে এটা গতি আনবে। এটা গোটা দেশকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। যেবাবে সমস্ত সাংসদরা একে সমর্থন জানিয়েছেন আমি অন্তর থেকে তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে বিলটা পাশ হওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী এক্স প্লাটফর্মে লিখেছিলেন,পার্টি নির্বিশেষে যে সাংসদরা এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম এটা একটা ঐতিহাসিক বিল। এটা নারীদের আরও শক্তিশালী করবে। আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি নারীরা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষে এই বিল অনুমোদন করেছিল। লোকসভায় ও বিধানসভায় যাতে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকে সেকারণে এই বিল। এই বিলের মাধ্যমে রাজনীতিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়বে। তবে গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে জনগণনার উপর। তবে ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির জেরে এই জনগণনা স্থগিত রাখা ছিল।
ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৪৫৪টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন মাত্র দু'জন সাংসদ। নিয়ম মোতাবেক, দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট পেয়ে লোকসভার গণ্ডি পার করে ফেলে মহিলা সংরক্ষণ বিল। পাশ হয়ে যায় মহিলা সংরক্ষণ বিল।