অনেক দিন ধরেই মারাত্মক বৃষ্টি হচ্ছে বাণিজ্য রাজধানীতে। এবার কার্যত বাঁধ ভাঙল। বুধবার সারা দিনে এমন বৃষ্টি হল যে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মুম্বইতে। প্রধানমন্ত্রী মোদী মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিন শুধু নীচু এলাকা নয়, যেখানে জল জমে না, সেখানেও হাঁটু অবধি জল। বাইকুলার জেজে হাসপাতালে জল ঢুকে যায় বিকালে। বিএমসি-কে সতর্ক থাকতে বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কারণ বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
একেই কোভিডে কুপোকাত মুম্বই। তার ওপর ঘায়ের ওপর বিষফোঁড়ার মত অবিশ্রান্ত বর্ষণ।খুব প্রয়োজন না থাকলে কেউ বেরোবেন না, আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন যে রাজ্যের যা যা সাহায্য দরকার, তা করতে প্রস্তুত কেন্দ্র।
এদিন বৃষ্টি ও মারাত্মক হাওয়ার ফলে বিঘ্ন ঘটে সড়ক ও ট্রেন পরিষেবায়। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে আছে। গাছ পড়ে আছে রাস্তায় রাস্তায়। চেম্বুর, পারেল, হিন্দমাতা, ওয়াডালার মতো জায়গায় মারাত্মক জল জমে আছে।
এদিন বৃষ্টির ফলে দুটি স্থানীয় ট্রেন আটকে পড়েছিল। ২৯০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছেন এনডিআরএফের কর্মীরা। এদিন পোর্ট ট্রাস্ট্রের তিনটি ক্রেন হাওয়ায় পড়ে যায় লাগোয়া রায়গড়ে। তবে কেউ আহত হননি।
সন্ধ্যায় কিছু অঞ্চলে প্রায় একশো কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায় অনেক অঞ্চলে। কিছু স্থানে প্রতি ঘণ্টায় ৩০-৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সন্ধ্যায় অবধি ২২৬.৯ মিমি বৃষ্টি হয়েছে মুম্বইয়ে মাত্র ৯ ঘণ্টায়। লাগোয়া থানে, ডোম্বিভালি ও কল্যানেও অবস্থা তথৈবচ।