একেবারে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রীর শিবরাজ চৌহান। আসলে এক আদিবাসী শ্রমিক দশমত রাওয়াতের মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় মধ্য়প্রদেশে। এরপরই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ওই আদিবাসী শ্রমিকের পা ধুইয়ে দেন। এমনকী তাঁকে শাল দিয়ে সম্মানিত করেন।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। সেই ভিডিয়ো দেখে অত্যন্ত মর্মাহত তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়ো দেখে খুব যন্ত্রণা পেয়েছি। আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি। আপনাদের মতো মানুষরা আমার কাছে ভগবানের সমান। টুইটারেও তিনি ওই পা ধোয়ানোর ছবি শেয়ার করেছেন। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি।
ভূপালের স্মার্ট সিটি পার্কে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যান তিনি। এরপর তিনি ওই ব্যক্তিকে দিয়ে চারাগাছ রোপন করান।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাছ কোনও বিভেদ ছাড়াই সকলকে প্রাণ দেয়। আমাদের সকলকে গাছের মতো হতে হবে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় ওই আদিবাসী শ্রমিক মুখ্য়মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে গাছে জল দিচ্ছেন।
সূত্রের খবর, প্রবেশ শুক্লা নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এদিকে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। পুলিশ আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তবে এরপরই প্রশাসনের আধিকারিকরা ময়দানে নামেন। তারা একেবারে বুলডোজার নিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনে হাজির হন। তারা ওই ব্যক্তির বাড়ির একাংশ কার্যত গুড়িয়ে দেয়। সরকারি জমি দখল করে ওই বাড়ি তৈরি হয়েছিল এই অভিযোগে তার বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়।
এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবাও জানিয়ে দেন. ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখব না। এনিয়ে তিনি ছেলের শাস্তির দাবিতেও সরব হন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন আমার ছেলে যদি দোষী হয়ে থাকে তবে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তিনি বলেন, গোটা বাড়ি ভেঙে দেবেন না। তার থেকে ওকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিন। কিন্তু আমার বাড়িতে মেয়ে রয়েছে। ওর দোষের জন্য আমাদের ভুগতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা কোথায় যাব?