ড্রোন+ধোনি= ড্রোনি
কৃষিকাজের প্রতি মহেন্দ্র সিং ধোনির আগ্রহ কারও অজানা নয়। এদিকে কৃষিকাজে আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়েও আগ্রহ রয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটারের। আর সেই কারণেই ড্রোন নির্মাতা সংস্থা গারুদা এয়ারোস্পেসের মুখ হয়েছেন তিনি। আর সেই সংস্থারই নতুন, অত্যাধুনিক ড্রোন 'ড্রোনি'। রবিবার এই নতুন ড্রোনের লঞ্চ করেন ধোনি।
ধোনি Garuda Aerospace-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। এই সংস্যা কৃষি, শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য ড্রোন নির্মাণ করে। এই জাতীয় ড্রোনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক স্প্রে, সৌর প্যানেল পরিষ্কার, শিল্পক্ষেত্রে পাইপলাইন পরিদর্শন, ম্যাপিং, জরিপ, ডাক পরিষেবা ইত্যাদি দেওয়া সম্ভব।
অর্থাত্ ড্রোন বলতে এখনও আমজনতা সিনেমাটোগ্রাফির কথা বুঝলেও, ছবি তোলা ছাড়াও অনেক কাজে লাগানো হয় ড্রোনকে।
চেন্নাইয়ে রবিবার প্রকাশিত এই ড্রোনিকে একটি 'কিষান ড্রোন' হিসাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই ড্রোনের মাধ্যমে দিনে ৩০ একর জমিতে কৃষি কীটনাশক স্প্রে করা যাবে। ফলে কাঁধে করে কীটনাশক বইতে হবে না কৃষিজীবীদের। তাছাড়া ক্ষতিকর রাসায়নিকের থেকেও বাঁচতে পারবেন তাঁরা।
লঞ্চ ইভেন্টে ধোনি বলেন, তিনি COVID লকডাউনের সময়ে কৃষি নিয়ে বেশি করে ভাবতে শুরু করেন। আর সেই সূত্রেই কৃষিজীবীদের জন্য ড্রোনের কার্যকারিতার বিষয়টিতে আগ্রহ জন্মায় তাঁর।
অফিসিয়াল বিবৃতি অনুযায়ী, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, অগ্নিশ্বর জয়প্রকাশ জানিয়েছেন যে, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ বাজারে এই 'ড্রোনি' পাওয়া যাবে।
চেন্নাইয়ের গ্লোবাল ড্রোন এক্সপোতে ১৪টি আন্তর্জাতিক ড্রোন কোম্পানির ১,৫০০ জন অংশগ্রহণকারী এসেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ২৮টিরও বেশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা। ক্রমেই এই ক্ষেত্রে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারী, যুবসমাজ এবং কৃষিজীবীদের। আগামিদিনে কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।