ট্রেনে গুলি করে চারজনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবল চেতন সিংয়ের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রেল সূত্রে খবর। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সাম্প্রদায়িক কারণকে সামনে আনা হচ্ছে তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, শুধু মুসলিমদের খুন করেছেন চেতন, এমনটা নয়। তিনি তাঁর সিনিয়র আধিকারিককেও খুন করেছেন। তিনি হিন্দু। সেক্ষেত্রে এখানে ওই সাম্প্রদায়িক তত্ত্ব খাড়া করাটা ঠিক নয়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সেদিন কিছুটা অসুস্থ ছিলেন ওই কনস্টেবল। তিনি আগাম ডিউটি থেকে ছুটি চাইছিলেন। সেটা নিয়ে সিনিয়রের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটিও হয়। তবে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্ট এলে পরবর্তী গুলি খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযুক্ত চেতন সিংয়ের পরিবার জানিয়েছে, ওই কনস্টেবল বদমেজাজি। অল্পেতেই রেগে যেতেন। তবে রেল উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করছে।
প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রের পালঘর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে ভয়াবহ ঘটনা। এক আরপিএফ কনস্টেবল তার সিনিয়র সহকর্মী ও তিনজন যাত্রীকে গুলি করে হত্য়া করেছিলেন। দুটি বগিতে ও প্যান্ট্রি কারে চলন্ত ট্রেনে তিনি গুলি চালান। মৃতদের নাম আব্দুল কোয়াদ্রিভাই মহম্মদ হুসেন ভানপুরওয়ালা( ৪৮), আখতার আব্বাস আলি( ৪৮) ও সাদর মহম্মদ হুসেন। তার সহকর্মী এসকর্ট ইনচার্জ এএসআই টিকা রামকে গুলি করে খুন করেন তিনি।
এরপর একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। সেটা দেখিয়ে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এটা টেরর অ্য়াটাক। মুসলিমদের টার্গেট করছে। মুসলিম বিরোধী ঘৃণাসূচক বক্তব্যের এটা ফলাফল। ওই অভিযুক্ত আরপিএফ জওয়ান কি ভবিষ্যতের বিজেপি প্রার্থী? তার জামিনের জন্য কি সরকার চেষ্টা করবে? যখন তিনি মুক্তি পাবেন তখন কি মালা দিয়ে বরণ করা হবে? যদি এটা ভুল প্রমাণিত হয় তবে খুশি হব।
তবে রেল জানিয়ে দিয়েছে এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িক কোনও ব্যাপার নেই। তার মানসিক সুস্থতার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।