মদের কালোবাজারি সংবাদ প্রকাশের পরেই রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন সাংবাদিক সুলভ শ্রীবাস্তব। কয়েকদিন আগে তিনি সংবাদমাধ্যমের চ্যানেলের মাধ্যমে মদের কালোবাজারি নিয়ে একটি খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এরপরই উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলায় রবিবার রাতে মৃত্যু হয় সেই সাংবাদিকের। যদিও পুলিশ এই ঘটনাকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে। আর এরপরই এই মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন সাংবাদিকের স্ত্রী রেণুকা শ্রীবাস্তব। এফআইআর দায়ের করেছেন রেণুকা।
ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী রেণুকা অভিযোগ করেন, 'খবরটা প্রকাশের পর থেকে তাঁকে ৩-৪ জন অনুসরণ করতে শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ তিনি পুলিশের এডিজিকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমি নিশ্চিত নই, তবে এটা আমার কাছে খুনের মতো দেখতে লাগছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমার ৭ এবং ১১ বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে। আমি তাদের মুখে অন্ন কীভাবে তুলে দেব?' উল্লেখ্য, পুলিশ দুর্ঘটনার তত্ত্ব খাড়া করলেও সুলভের দুর্ঘটনার ছবিতে স্পষ্ট যে মুখেচোখে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছে যেন কেউ জামাটা টেনে খুলে নিয়েছে, প্যান্টের বোতাম খুলে কিছুটা নিচে নামানো।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর ঠিক আগের দিন নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে পুলিশের এডিজিকে চিঠি লিখেছিলেন সুলভ। চিঠিতে তিনি লেখেন, একটি সংবাদমাধ্যমের পোর্টালে ৯ জুন আমি মদের কালোবাজারির বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করি। এখন বাড়ি থেকে বেরলে মনে হচ্ছে, কেউ যেন আমার পিছনে পিছনে আসছে। এটাও জেনেছি যে মদের কালোবাজারির কারবারীরা এই খবরের জন্যে আমার ক্ষতি করতে পারে। আমার পরিবার দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ শ্রীবাস্তব বাড়ি ফেরার সময় ইটভাটার কাছে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। স্থানীয় শ্রমিকরা তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে তাঁর ফোন থেকে তাঁর বন্ধুদের ফোন করেন, অ্যাম্বুলেন্সও ডাকেন। তাঁকে জেলা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।