প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন পা রাখলেন তাঁর ১০০ তম বর্ষে। সেই উপলক্ষ্যে এদিন গুজরাতের গান্ধীনগরে গিয়ে মায়ের পা ধুইয়ে দিয়ে তাঁর প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানান মোদী। এই মায়ের সঙ্গে আলাদা করে পুজোয় বসতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। কিছুটা সময় মায়ের সঙ্গে নিজের মতো করে কাটান তিনি। সেই সঙ্গে মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি পোস্ট শেয়ার করেন।
মোদী তাঁর পোস্টে মা হীরাবেনের পুরনো দিনের নানান কথা তুলে ধরেন। ব্লগপোস্টে মোদী তুলে ধরেন তাঁর মায়ের নানান আত্মত্যাগের কথা। মোদী লেখেন, তাঁদের বাড়ির আয়তন ছোট হলেও, তাঁর মা হীরাবেনের মন অনেক বড়। তিনি লেখেন, 'প্রতিটি প্রাণির জন্য তাঁর (মায়ের) খুবই আদর ছিল'। পাখির জন্য জল রাখা, কিম্বা অভূক্ত কুকুরকে খেতে দেওয়ার কথা এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন মোদী। মোদী বলছেন, অন্যের আনন্দে চিরকালই আনন্দ খুঁজে নিতেন হীরাবেন। ব্লগপোস্টে মোদী উল্লেখ করেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু আব্বাসের কথা। মোদী লিখছেন, 'আমার বাবার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাছের গ্রামেই থাকতেন। বন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর সন্তান আব্বাসকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবা।' সেই প্রসঙ্গেই মোদী লেখেন, আব্বাসের জন্য ইদের দিনে নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন রান্না করতেন আব্বাসের পছন্দের পদ। আরও পড়ুন- প্রশাসনের মালির সম্পত্তিতে ৩ টি বাড়ি, ৫ টি জমি, কোটি টাকা! জারি আরও তল্লাশি
এদিন হীরাবেন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী উত্থাপন করেন তাঁর মায়ের কেদারনাথ, বদ্রীনাথ ভ্রমণের কথা। সেই সময় মোদী ছিলেন সংগঠনের সদ্য। ব্যস্ত থাকতেন কাজে। আচমকাই তিনি জানতে পারেন তাঁর মা তীর্থে যাচ্ছেন। সেই সময় সেখানের আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন হীরাবেন। আর তাঁকে সাহায্য করতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। দেন কম্বল, চা। মোদী লিখছেন ততদিনে অনেকেই হীরাবেনকে নরেন্দ্র মোদীর মা হিসাবে চিনে গিয়েছেন। পরে মোদীর সঙ্গে দেখা হতেই হীরাবেন মোদীকে বলেন, 'মনে হয় তুমি কোনও ভাল কাজ করছ, তাই মানুষ তোমায় চেনে।' এই সমস্ত তথ্য ব্লগে তুলে ধরেন মোদী।