ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতি বছর দেশের কোনও না কোনও সীমান্তে গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রথা মেনেই আজ সকালে কার্গিলে পৌঁছে যান মোদী। সেখানে তিনি জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তব্যও রাখেন। মোদী এদিন বলেন, ‘কার্গিলের এই বিজয়ভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি দেশের সকল মানুষ ও গোটা বিশ্বকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিওয়ালি হল সন্ত্রাসের দমনের উৎসব। আর কার্গিল এটা সম্ভব করেছিল।’ এদিকে সীমান্তে মোতায়েন সেনাদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘আপনাদের মধ্যেই আমার দীপাবলির যাবতীয় ঔজ্জ্বল্য রয়েছে।’
মোদী এদিন বলেন, ‘কুরুক্ষেত্র বা লঙ্কার যুদ্ধই হোক না কেন, যুদ্ধ সর্বদাই শেষ পদক্ষেপ ছিল... আমরা বিশ্ব শান্তির প্রবক্তা। আমরা সংঘর্ষের বিরোধিতা করি। কিন্তু শক্তি ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়। আমাদের বাহিনীর সক্ষমতা ও কৌশল রয়েছে। সেনাবাহিনী জানে কিভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চায় তাদের যোগ্য জবাব দিতে হয়।’ এদিকে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রশংসাও করেন। পাশাপাশি মোদী বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর দিওয়ালিতে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাটান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই প্রথা মেনেই ২০২২ সালেও জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি পালন করতে কার্গিল পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে আজ সকালেই টুইট করে দেসবাসীকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদী। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'সকলকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আলোর সঙ্গে জড়িয়ে দিওয়ালি। এই শুভ উৎসব আমাদের জীবনে আনন্দ ও মঙ্গলের চেতনাকে আরও বাড়িয়ে তুলুক। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে দিওয়াবলি কাটান, এই কামনা করি।' পরে অপর এক টুইট বার্তায় পিএমও-র তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্গিল পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি আমাদের বীর জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি পালন করবেন।
এর আগে ২০১৪ সালে মোদী গিয়েছিলেন সিয়াচেনে। এরপর ২০১৫ সালে পঞ্জাবের সীমান্তে গিয়ে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের তিনটি সৌধে সম্মান জ্ঞাপন করেছিলেন মোদী। ২০১৬ সালে হিমাচলের চিন সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটান মোদী। সেখানে আইটিবিপি জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে গিয়েছিলেন মোদী। ২০১৮ সালে মোদী যান উত্তরাখণ্ডের হরসিল সীমান্তে। ২০১৯ সালে মোদী গিয়েছিলেন কাশ্মীরের রাজৌরি এবং ২০২০ সালে তিনি গিয়েছিলেন রাজস্থানের লঙ্গেওয়ালা সীমান্তে। গতবছর মোদী গিয়েছিলেন কাশ্মীরের নৌশেরায়।