দেশের সেনার ওপর অন্যতম ঘৃণ্য জঙ্গি হামলার অধ্যায় পুলওয়ামা ও উরি-কাণ্ড। এবার সেই পর্ব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য উঠে এলে জম্মু ও কাশ্মীরের নেতা তথা ন্যাশনাল কন্ফারেন্সের সদস্য শেখ মুস্তাফা কামাল। সোমবার এক মন্তব্যে তিনি দাবি করেছেন যে, ২০১৬ সালের উরি হামলা ও ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা কেন্দ্রীয় সরকার ষড়যন্ত্র করে করেছে। তাঁর এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
নিজের মন্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের নেতা শেখ মুস্তাফা কামাল দাবি করছেন, শহিদ সেনা জওয়ানের কোনও ছবি তিনি দেখতে পাননি। তাঁর আরও দাবি, যে জওয়ানরা সেই অভিশপ্ত হামলায় শহিদ হন তাঁরা সকলেই তফশিলি জাতিভূক্ত। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ন্যাশনাল কনফেরেন্স নেতা মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘এটা এখন নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে যে সেগুলি (হামলাগুলি), ভারত সরকারের তরফে ঘটানো হয়েছে। আমরা তাঁদের (শহিদদের) ছবি বা দেহ দেখিনি। ফলে এটা স্পষ্ট যে ওই ৩০ বা ৪০ সেনা জওয়ান সকলেই তফশিলি জাতিভূক্ত।'
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল কন্ফারেনেসের প্রথম সারির নেতা ওমর আবদুল্লাহ বহুদিন ধরে দাবি করছিলেন, যাতে কাশ্মীরে ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ তৈরি করা যায়। সেই সুর আরও বেশি চড়িয়ে শেখ মুস্তাফা কামাল বলেন, ওই হামলাগুলির নেপথ্যের ‘সত্যি’ টা বেরিয়ে আসা দরকার। তিনি দাবি করেন, জাতীয় স্তরে তদন্ত হলেই সমস্তটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এটা পরিষ্কার যে কাকে দোষারোপ করা হবে, একটা নয়, পুরো ৫ টি আঙুলই ভারত সরকারের দিকে নির্দিষ্ট করছে’। প্রসঙ্গত, ভারতের সেনার ওপর যে সমস্ত আক্রমণের ইতিহাস এদেশে রয়েছে, তারমধ্যে সবচেয়ে নৃশংস হামলা হল উরি ও পুলওয়ামার হামলা। ২০১৬ ও ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে জঙ্গিদের সেই হামলার মোক্ষম জবাব দেয় ভারত। পর পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ারস্ট্রাইকে পাকিস্তানের বুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় দিল্লি। এদিকে, ততদিনে পাকিস্তানকে এই হামলার নেপথ্যে থাকা জঙ্গিদের সমস্ত নথি প্রমাণ তুলে দেয় ভারত। তবে দিল্লির কথায় সেভাবে আমল দিতে দেখা যায়নি ইসলামাবাদকে। এরপর কাশ্মীরের বুক থেকে এই শেখ মুস্তাফা কামালের বিতর্কিত মন্তব্য আসে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup