নেপালের সাব-মেট্রোপলিটন সিটি ধাঙ্গাধির মেয়র গোপাল হামালের মেয়ে আরতিকে গত কয়েক দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনা নিয়ে উদ্বেগের বশে গোপাল হামাল সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ৩৬ বছর বয়সী বড় মেয়ে আরতির নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান। জানা যায়, আরতি ছিলেন গোয়ায়। ওশো মেডিটেশন-এর অনুরাগী আরতি গোয়ার কোথায় রয়েছেন, জানতে চেয়ে উদগ্রীব ছিলেন বাবা গোপাল হামাল। এরপর নিখোঁজ আরতিকে খুঁজতে নেপাল থেকে তাঁর বোন ও এক পরিজন আসেন ভারতে। ততক্ষণে গোয়া পুলিশের কাছে যায় এফআইআর। শেষমেশ উদ্ধার হয়েছেন আরতি।
জানা যায়, বুধবার আরতিকে গোয়ার একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর গোয়ার চোপদেম গ্রামের সেই হোটেলে আরতিকে পাওয়া যায়। ওশো মেডিটেশনের ভক্ত আরতি গত এক মাস ধরে গোয়ায় ছিলেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, গত ২৫ মার্চ তাঁকে গোয়ার যে জায়গায় দেখা গিয়েছে, তার থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আরতিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তথ্য দিয়েছে পুলিশ। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, ওশো মেডিটেশন সেন্টার থেকেই আরতি নিখোঁজ ছিলেন। ওশো মেডিটেশন সেন্টারের তরফে একটি এফআইআর দায়ের করা হয় আরতিকে নিয়ে। তার ভিত্তিতে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আরতিকে খুঁজতে গোটা গোয়ায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশের কাছে খবর ছিল যে, শেষবার যখন আরতিকে দেখা গিয়েছে, তখন তিনি সজ্ঞানে ছিলেন। পুলিশ জানাচ্ছে, গোয়ায় প্রায়ই যাতায়াত ছিল আরতির। যেহেতু শেষবার আরতি গোয়ার ওই ওশো সেন্টারে নিজের ফোন ফেলে রেখে গিয়েছিলেন, তাই তাঁকে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। ফলে প্রযুক্তিগতভাবে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গোয়ার চোপদেমে যে হোটেল থেকে আরতিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে আরতির আরও ২ বান্ধবী ছিলেন।
এদিকে, আরতি উদ্ধারের পর নেপালের মেয়র গোপাল হামাল লেখেন, ‘গোয়াতে বসবাসকারী সহায়ক নেপালি ভাই ও বোনদের সাথে যাঁরা অনুসন্ধানের কাজে সাহায্য করেছেন আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বড় মেয়ে আরতি, ছোট মেয়ে আরজু এবং জামাই একসাথে আছেন।’ ফলে নেপাল থেকে রওনা হওয়া আরতির আত্মীয়দের সঙ্গে যে আরতির দেখা হয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছেন নেপালের মেয়র। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে আরতির আচমকা নিখোঁজ হওয়া নিয়ে। কীভাবে তিনি নিখোঁজ হলেন, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।