ঘূর্ণিঝড় আইডার কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় আমেরিকার নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভেনিয়াতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪। ইতিহাসে প্রথমবার এই প্রথবার আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে বেশ কয়েকশো ফ্লাইট ও ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।
বন্যার জেরে অনেকেই বেসমেন্টে আটকে মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে নিউইয়র্কের প্রশাসনের তরফে। শহরে মৃত ১৩ জনের মধ্যে ১১ জনই বেসমেন্টে আটকা পড়ে মারা যান। আন্ডারগ্রাউন্ড রেলের পরিস্থিতিও খুব খারাপ। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া কোনও ধরনের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এক মাসের পরিমাণ বৃষ্টি এক রাতে হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আইডার প্রভাবে। এছাড়াও কয়েকদিন আগেই আরও একটি ঘূর্ণিঝড় এই অঞ্চলে আছড়ে পড়েছিল। সব মিলিয়ে এই আকস্মিক বন্যায় নাজেহাল পরিস্থিতি নিউইর্কবাসীর।
এদিকে নিউ জার্সি এবং নিউইর্য়কের বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই অতিবৃষ্টির জেরে। জার্সিতে জানা গিয়েছে বেশির ভাগ মৃত্যুর ঘটনা গাড়িতে আটকে পড়ে হয়েছে। বন্যার কারণে এই গাড়িগুলি ভেসে গিয়েছিল তবে সেই সময় দুর্ভাগ্যক্রমে গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি সেই গাড়িতে থাকা মানুষজন। নিউ জার্সিতে মোট ২৩ জন মারা গিয়েছেন বন্যার জেরে।
প্রদেশের স্তরে নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। অপরদিকে আমেরিকার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ফ্ল্যাশ ফ্লাডের সতর্কতা জারি হয়েছে। জানা গিয়েছে, গতরাতে নিউইয়র্কের সেন্ট্ররাল পার্কে এক ঘণ্টার মধ্যে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এই আবহাওয়ার জেরে ইউএস ওপেনও স্থগিত রাখা হয়েছে।