গোটা দেশজুড়ে অভিযানে নামল এনআইএ। মূলত জঙ্গি সংগঠন, গ্যাংস্টার, ড্রাগ মাফিয়াদের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র গড়ে উঠেছে কি না তা নিশ্চিত করতেই দেশের ৫২টি লোকেশনে অভিযান চালাল এনআইএ। পঞ্জাব,হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই অভিযান।
এনআইএ সূত্রে খবর, একেবারে কুখ্যাত গ্যাংস্টার, দুষ্কৃতীদল, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের একাধিক ব্যবসায়ী, ইউপি, রাজস্থান, দিল্লির অস্ত্র ব্যবসায়ী ও হরিয়ানার মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও এই অভিযান হয়েছে।
চলতি বছরের অগস্ট মাসে এনআইএর তরফে দুটি মামলা রুজু করা হয়েছিল। একাধিক ক্ষেত্রে তোলা চেয়ে ফোন করা হত ব্যবসায়ী, চিকিৎসক সহ নানা পেশার লোকজনকে। এমনকী জেলের ভেতর থেকে, বিদেশ থেকে বসেও এই নেটওয়ার্ক চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর এনআইএ অন্তত ৫০টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার, লরেন্স বিষ্ণোই, জগ্গু ভগবানপুরিয়া ও নীরজ বাওয়ানা সহ একাধিক মাফিয়ার আস্তানায় হানা দেয় এনআইএ।
আর এদিন রাজস্থানের সম্পত নেহেরা, নরেশ শেঠি, অমিত দাগার, বন্দর সেলিম, রিজওয়ান খুরজা সহ কুখ্য়াত দুষ্কৃতীদের ডেরায় হানা দেয় এনআইএ। নর্থইস্ট দিল্লি আইনজীবী আসিফ খানের বাড়ি থেকে পাঁচটি পিস্তল উদ্ধার করেছে এনআইএ। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, হরিয়ানা ও দিল্লির একাধিক গ্যাংস্টারের সঙ্গে যোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির।