গণতন্ত্রের জন্য জাতীয় স্তরে শক্তিশালী কংগ্রেসের প্রয়োজন আছে। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা নীতিন গডকড়ি। বিজেপি নেতাদের 'কংগ্রেস মুক্ত ভারতের' ডাকের মধ্যেই গডকড়ির সেই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দল। সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচাও দিতে ছাড়েনি।
গত শনিবার পুণেতে লোকমতের আয়োজিত সাংবাদিকতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গডকড়ি বলেন, 'দু'চাকায ভর করে গণতন্ত্র দৌড়ায়। একটা চাকা হল শাসক দল এবং অপর চাকা হল বিরোধীরা। গণতন্ত্রের জন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী শক্তির প্রয়োজন আছে। সেজন্য আমি মন থেকে চাই যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের শক্তিশালী হওয়া উচিত।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়ায় অন্যান্য আঞ্চলিক দল তাদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। গণতন্ত্রের জন্য বিষয়টা মোটেও ভালো নয় যে কংগ্রেসের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলি।'
গডকড়ি এমন সময় সেই মন্তব্য করেছেন, যখন পাঁচ রাজ্যের (গোয়া, মণিপুর, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড) বিধানসভা ভোটে ভরাডুবিতে রীতিমতো শোচনীয় অবস্থা কংগ্রেসের। অথচ একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের সামনে সুযোগ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে গডকড়ির আর্জি, যাঁরা কংগ্রেসের মতবাদে বিশ্বাসী, তাঁরা যেন শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলে থাকেন। গডকড়িকে উদ্ধৃত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'যাঁরা কংগ্রেসের মতাদর্শে বিশ্বাস করেন, তাঁদের দলেই থাকা উচিত এবং দলের উপর আস্থা থাকা উচিত।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা সচিন সাওয়ান্ত। তিনি বলেন, 'গডকড়িজি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, সেই বিষয়টার প্রশংসা করি আমরা। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার বিরোধী দল এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বিজেপির যে প্রচেষ্টা চলছে, তা নিয়ে তাঁর নেতা মোদীজির সঙ্গে কথা বলা উচিত।' উল্লেখ্য, মোদী-সহ বিজেপি নেতারা একাধিকবার 'কংগ্রেস মুক্ত ভারতের' ডাক দিয়েছেন।