বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
সরকারি কর্মচারীদের জন্য এবার বিশেষ নির্দেশ। অসম সরকারের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, কোনও রাজ্য সরকারি কর্মী সরকারের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে না। অসম সরকারের মুখ্য সচিব নীরজ ভার্মা ২০ অক্টোবর এই নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এটাই প্রকাশ্যে আসে।
নির্দেশ অনুসারে বলা হয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মচারীকে দেখা যায় এই নিয়ম ভঙ্গ করছেন বা দ্বিতীয়বার বিয়ে করছেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে।
নীরজ ভার্মা তাঁর ওই নির্দেশে জানিয়েছেন, অসম সিভিল সার্ভিস কন্ডাক্ট রুলস ১৯৬৫ অনুসারে যাঁর একজন স্ত্রী রয়েছে তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, যে সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে একজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় তাদের ক্ষেত্রেও সরকার থেকে অনুমতি নিতে হবে।
সেই সঙ্গেই মহিলা কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে , কোনও মহিলা কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করবেন না যাঁর অপর একজন স্ত্রী রয়েছে ও যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি।
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, যে সমস্ত সরকারি কর্মী এই ধরনের দ্বিতীয়বার বিয়ে করবেন সরকারি অনুমতি ছাড়া তাদের বাধ্য়তামূলক অবসর নিতে বলা হবে। তাদের উপর বড় শাস্তি আরোপ হতে পারে।
তবে অসমের একাধিক আইনজীবীর দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। এটা অসমে আগে থেকেই ছিল।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, এটা আগে থেকেই আছে। সরকারি কর্মীদের চাকরিতে যোগদান করার আগে এনিয়ে হলফনামা জমা দিতে হয়।
এদিকে সিনিয়র অ্য়াডভোকেট ধর্মেন্দ্র দেব জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে হিন্দুরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। আর অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা পার্সোনাল ল-এর ব্যাপার। এক্ষেত্রে এই ধরনের বিয়েকে আটকাতে গেলে রাজ্য সরকারকে পার্সোনাল ল-কে সংশোধন করতে হবে।