রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে নানা ফৌজদারি অভিযোগ থাকে। আর গোয়ার ছবিটা একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমক্র্য়াটিক রাইটসের মতে গোয়াতে প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা প্রতি ভোটে ক্রমেই বাড়ছে। ২০০৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ২টি। ২০১২ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়াল ৪টি, ২০১৭ সালে সেটি হল ৮টি আর ২০২২ সালে সেই সংখ্য়া দাঁড়িয়েছে ১৮টি।
পরিসংখ্যান বলছে ৩০১জন প্রার্থীর মধ্য়ে ৭৭জনের বিরুদ্ধেই অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। এদিকে ২০১৭ সালের নির্বাচনে ২৫১জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৮জন মানে ১৫ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ রয়েছে। আর এবার ২৬ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এবার ১৮ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের কথা হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে ৪০টির মধ্যে ১২টি বিধানসভা এলাকাকে রেড অ্যালার্ট বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবার। সাধারণত যে বিধানসভা এলাকায় তিন বা তার বেশি সংখ্যক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ থাকে সেই এলাকাকে রেড অ্য়ালার্ট বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশ ও বিহারের তুলনাতেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে গোয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি করা বিধানসভার সংখ্যা বেশি। আর সম্পত্তির নিরিখেও গোয়ার প্রার্থীদের দেওয়া তথ্য যথেষ্ট নজরকাড়া। দেখা যাচ্ছে নির্দল প্রার্থী ডঃ চন্দ্রকান্ত সাইটের ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ৫৯.৬৩ কোটি।