উপকূলবর্তী ওড়িশার তিনটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। আগামী ২ মাসের জন্য সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা থাকবে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, খরস্রোতা নদী থেকে মেগা পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ পাইপ লাইনের মাধ্যমে নদী থেকে জল তুলে নিলে নদীর জলতল ক্রমেই নেমে যাবে। এর জেরে সেচের জলও পাওয়া যাবে না। অবিলম্বে এই প্রকল্প বন্ধ করার দাবিতে খরস্রোতা বাঁচাও সংগ্রাম সমিতির ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর জেরে প্রকল্পের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এবার ১৪৪ ধারা জারি করে প্রকল্প রূপায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রাপাড়া জেলা প্রশাসন বালাকাটি, ভারিয়াগড়া ও বরুনাডিহ এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেকারণে ১২ প্ল্যাটুন পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে আন্দোলনকারী সংগঠনের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক দেবেন্দ্র শর্মা বলেন, আমরা সরকারকে বলেছিলাম খরস্রোতার উপর বাঁধ তৈরি করে ভদ্রক জেলায় জল সরবরাহ করতে পারেন। এভাবে জলের গতিপথ বদলে দেওয়া হলে কেন্দ্রাপাড়াতে জলের সংকট দেখা দেবে। পুলিশ এই জলপ্রকল্প পাহারা দিতে পারবে না। যতক্ষণ না বাঁধ তৈরি হচ্ছে ততদিন আমরা ভদ্রকে জল সরবরাহ করতে দেব।
এদিকে ভদ্রকের ভূগর্ভস্থ জল লবনাক্ত হওয়ার জন্য খরস্রোতা থেকে জল নিয়ে ৯১টি পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য প্রায় ৮৯২ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তবে রাজকণিকার বাসিন্দাদের দাবি এভাবে নদী থেকে জল নিলে সেচেরও মারাত্মক ক্ষতি হবে।