দেবব্রত মোহান্তি, ভুবনেশ্বর
২রা জুন ২০২৩। সেই ভয়াবহ রাত। ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা। ২৯৬জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল সেই ট্রেন দুর্ঘটনায়। ১১০০জন আহত হয়েছিলেন। সেই দুর্ঘটনার পরে প্রায় চার মাস কাটতে চলল। ভুবনেশ্বর পুরসভা জানিয়েছে, ২৮টি মৃতদেহের কোনও দাবিদার নেই। ভুবনেশ্বর এইমসে সেগুলিকে হিমঘরে রাখা রয়েছে। তবে কিছুদিনের মধ্য়ে এবার সেগুলি দাহ করে দেওয়া হবে। কারণ এতদিন পরেও তার কোনও দাবিদার নেই।
হিসাব বলছে, ২৯৬টি দেহের মধ্য়ে ১৬২টি দেহকে এইমস ভুবনেশ্বরে রাখা ছিল। ৮১টি দেহ তুলে দেওয়া হয় প্রিয়জনের হাতে। বাকি ৮১টির মধ্যে ৫৩টি ডিএনএ মিলিয়ে দেওয়া হয় প্রিয়জনদের হাতে। কিন্তু ২৮ দেহের কেউ দাবিদার নেই।
মনে করা হচ্ছে এগুলি পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ। এগুলি হয়তো উত্তরবঙ্গের হতে পারে। সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম ছেড়ে তারা কাজের খোঁজে হয়তো বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের পরিবারও হয়তো জানেন না তাঁরা আদৌ ওই ট্রেনে ছিলেন কি না। ভাবছেন হয়তো নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।
বিএমসি কমিশনার বিজয় অমৃতা কুলাঙ্গে জানিয়েছেন, সিবিআই সম্প্রতি জানিয়ছে এবার এই দেহগুলি দাহ করা যেতে পারে। এইমস থেকে শ্মশানে আনার সময় সম্ভবত সিবিআই টিম থাকতে পারে। তবে সেটা কখন হবে সেটা নিশ্চিত নই।
তবে সেটা সোমবার নাকি মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে সেটা নিশ্চিত নয়। এইমস বিএমসিকে দেহ দেবে। এরপর সেগুলি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে। গোটাটার ভিডিয়ো করা হবে।
এদিকে সেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা রেলের ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনা। মনে করা হচ্ছে ইন্টারলকিং সিস্টেমের গোলোযোগের জেরে করমণ্ডল মালগাড়ি ট্রেনের লাইনে ঢুকে পড়েছিল। সিবিআই তদন্ত নেমে তিন রেল কর্মী আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে।