অল্প সংখ্যক করোনা রোগী পাওয়া গেলেই পুরো অফিস বন্ধ করার দরকার নেই, নিজেদের গাইডলাইনসে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। লকডাউনের চতুর্থ দফায় কার্যত সব অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, শুধু কনটেনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে। কিন্তু কোনওভাবে যদি অফিসে কোনও ব্যাক্তির শরীরে করোনা মেলে, তাহলে কী করতে হবে সেই সম্পর্কে বিষদে জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সরকার জানিয়েছে একটা -দুটো কেস হলে অফিস বন্ধ করার দরকার নেই। জীবানুনাশক দিয়ে অফিস সাফ করে ফের কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে যদি অনেক মানুষ সংক্রমিত হন, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার জন্য অফিস বন্ধ করে সাফাইয়ের কাজ হতে হবে। তারপরেই কর্মীরা ফিরতে পারবেন।
অফিসে সামাজিক দূরত্বের সুযোগ কম, তাই করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে উদ্বেগ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। এই জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, ঘনঘন হাত ধোয়া, রুমাল, টিস্যু ব্যবহার করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অফিসে থার্মাল স্ক্যানার থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বাধ্যতামূলক ভাবে ব্যবহার করা উচিত। খুব প্রয়োজন না হলে কোনও বাইরের লোককে ডাকা উচিত নয়। যতটা সম্ভব ভিডিও কনফারেন্স ও ইমেলের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। ঘনঘন অফিস স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে।
কোনও ব্যক্তির জ্বর হলে তার অফিসে আসা উচিত নয় ও দ্রুত কোভিড টেস্ট করা উচিত। পজিটিভ ধরা পড়লে তখনই অফিস কর্তৃপক্ষকে বলা উচিত।
অফিসে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে একটা নিরিবিলি ঘরে তাকে রাখা উচিত ডাক্তার আসা অবধি। স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনকে জানানো উচিত। প্রয়োজনে ১০৭৫ হেল্পলাইনে ফোন করা যেতে পারে। এরপর রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করবে কর্তৃপক্ষ ও পরবর্তী পদক্ষেপ কী, সেটি বলে দেবে।
কেউ করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে তার সঙ্গে সরাসরি যারা কাজ করত, তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে। বাকিরা অফিস করতে হবে, তবে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর খেয়াল রাখতে হবে।