কৃষি বিলের প্রতিবাদে সংসদ অধিবেশনের মাঝে ওয়েলে নেমে বিরোধী সাংসদদের হট্টগোল পাকানোর ঘটনা খুবই দুঃখজনক। রবিবার সকালের ঘটনার জেরে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের আচরণের তীব্র সমালোচনা করে রাজনাথ বলেন, ওয়েলে নেমে রাজ্য সভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের সামনে পৌঁছে রুল বুকের পাতা ছেঁড়া অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, কৃষক উন্নয়নের স্বার্থে এ দিন কৃষি বিল পাশ করে কৃষক উন্নয়নে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিলের সুবাদে দেশের যে কোনও স্থানে নিজেদের উৎপন্ন ফসল বেচতে সমর্থ হবেন কৃষকরা। কিন্তু বিরোধীরা কৃষকদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্ত করছেন। তবে তা সত্ত্বেও কৃষকরা এমএসপি পাবেন বলে জানান রাজনাথ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘লোক সভা বা রাজ্য সভা কোথাও রোধীদের এমন আচরণ কখনও দেখিনি। এই ঘটনার কোনও পূর্বাভাসও পাওয়া যায়নি। এতে সংসদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জাজনক। গুজব ছড়িয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলেছে। এই আচরণ সংসদীয় শিষ্টতার পরিপন্থী।’
উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারীর আবহে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কড়া নির্দেশিকা অনুসরণ করে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এ দিন কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেছেন বিরোধীরা, অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, সদ্য পাশ হওয়া কৃষক বিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ‘আত্মনির্ভর কৃষি নীতি’র সহায়ক।
বিরোধী প্রতিবাদের জেরে সংসদীয় অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব পেশের প্রেক্ষিতে রাজ্য সভার চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে উনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বিষয়ে আমি রাজনৈতিক ভাবে কিছু বলতে চাই না। এটা ওঁর বিষয়।’