কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে মাত্র ৪০ দিনে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ৬৯ লাখের বেশি কর্মপ্রার্থী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি পেয়েছেন মাত্র ৭,৭০০ জন।
গত ১১ জুলাই আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের বিকাশে ‘অসীম’ (ASEEM) অর্থাৎ আত্মনির্ভর স্কিলড এমপ্লয়ি এমপ্লয়ার ম্যাপিং পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৪ থেকে ২১ অগস্টের মধ্যে সেই পোর্টাল সূত্রে চাকরি পেয়েছেন মোট ৭,৭০০ চাকরিপ্রার্থী। এই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদসংস্থা।
মূলত লকডাউনে কাজ হারিয়ে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশেই পোর্টালটি খোলা হয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর। কিন্তু ৬৯ লাখ কর্মপ্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৭,৭০০ জন কাজ পেয়েছেন।
কেন্দ্রের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, পোর্টালটি শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য খোলা হয়নি। তালিকায় রয়েছেন দর্জি, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, ফিল্ড টেকনিশিয়ান, সেলাই মেশিন চালানোর কর্মী, ক্যুরিয়র সার্ভিস-এর ডেলিভারি কর্মী, নার্স, হিসেবরক্ষক, সাফাই কর্মী এবং বিপণন কর্মী।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, লকডাউনের কারণে কর্নাটক, দিল্লি, তেলাঙ্গনা ও তামিল নাডু থেকে বিপুল পরিমাণে পরিযায়ী শ্রমিক নিজরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
এ দিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে কাজের চাহিদা প্রায় ৮০% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কর্মসংস্থানের মাত্রা বেড়েছে মাত্র ৯.৮৭%। অন্য দিকে, ২১ অগস্ট পর্যন্ত পোর্টালে নথিভুক্ত নামের সংখ্যাও ১১.৯৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য পরিষেবা, ব্যাঙ্ক, বিমা-সহ অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, খুচরো বিপণন এবং নির্মাণ ক্ষেত্র থেকে প্রায় ৭৩.৪% কাজের প্রস্তাব আসছে।
সরকারি পোর্টালের হিসেব বলছে, গত জুন মাসে দেশের ১১৬টি জেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান ঘোষণা করেছিলেন, তাতে মোট কর্মপ্রার্থীর তালিকায় মহিলার সংখ্যা ৫.৪ শতাংশ।
অসীম পোর্টালে নথিভুক্ত হয়েছে মোট ৫১৪টি সংস্থা। তাদের মধ্যে ৪৪৩টি সংস্থা ২.৯২ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তবে পোর্টালে নথিভুক্ত কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে মাত্র ১.৪৯ লাখকে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭% কর্নাটক, দিল্লি, হরিয়ানা, তেলাঙ্গনা ও তামিল নাডুতে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে পোর্টালে নাম নথিভুক্তকারী ৪২.৩% জন উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, তামিল নাডু ও দিল্লির বাসিন্দা।