এইচ লালহালিমাম
ঘটনা গত নভেম্বরের ২০ তারিখের। সেই সময় বাংলাদেশ থেকে ২৯৩ জন মিজোরামের লংগতলাই জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, চট্টোগ্রামের হিল ট্রাক্ট থেকে সদ্য সরে যান কুকি চিন বা মিজো আদিবাসীরা। সেখানে বাংলাদেশ সেনা ও কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির সংঘাত তাঁদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করেছে।
অফিশিয়ালদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৬১ মহিলা সমেত ওই বিশাল সংখ্যক উদ্বাস্তু পরব-৩ গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, পর্ব তিন গ্রামের একটি স্কুলে তাঁরা অংশ নিয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তাঁরা আশ্রয় নেন। ইতিমধ্যেই লংগতলাইয়ের ডেপুটি কমিশনার অমল শ্রীবাস্তব একটি বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে স্থানীয় এনজিও সমেত বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দফতরকে এই বিষয়ে পথ প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। যাতে ওই বাংলাদেশি নাগরিক যাঁরা মিজো জাতিভূক্ত তাঁদের বাসস্থানের বিষয়টি ও আশ্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
অমল শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে, এই উদ্বাস্তু সংক্রান্ত বিষয়টি সামনে আসতেই জেলা প্রশাসন বেশ খানিকটা পদক্ষেপ করেছে। যখনই মানুষের সংখ্যা মিজো সীমান্তে বেড়ে যেতে থাকে, তখন থেকেই এই পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত বাংলাদেশি ওই নাগরিকদের সমস্ত রকমের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে আশ্রয়। মিজোরাম প্রসাসন মানবিকতার দিক দিয়েও বিষয়টিকে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে। মিজো প্রশাসন স্থানীয় গির্জা, এনজিওদের সহযোগিতাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন এই মর্মে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও মিজোরামের মধ্যে রয়েছে ৩১৮ কিলেমিটারের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত।