পাকিস্তানে নারী ও শিশুদের উপর যৌন অপরাধের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অথচ সেই অনুপাতে সাজা হচ্ছে না অপরাধীদের। সেই কারণে অপরাধীদের রাসায়নিক পদ্ধতিতে পুরুষাঙ্গ অক্ষম করার শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইমরান খানের সরকার। কিন্তু আচমকাই সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল পাকিস্তান। শেষ মুহূর্তে ধর্ষকের শাস্তি দেওয়ার এই প্রস্তাব বাতিল করে দিল পাক সরকার।
দেশের আইন বিষয়ক সচিব মালেখা বুখারি জানিয়েছেন, পুরুষদের পুরুষত্বহীন করার বিষয়টি ইসলামের পরিপন্থী। রাষ্ট্রীয় ইসলামিক আইডিওলজি কাউন্সিলের ভোটাভুটির ভিত্তিতে শেষ মুহূর্তে এসে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে কারণেই এই প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তানে যেভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে তার রিপোর্টে উল্লেখ করে উদ্বেগ করেছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। বেসরকারি সংস্থা 'ওয়ার এগেইনস্ট রেইপ' তাদের রিপোর্টে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশে ধর্ষণের মতো অপরাধ কমাতে তৎপর হয়েছিল ইমরান খানের সরকার। এ নিয়ে দেশের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে বিলটি পাস করা হয়েছিল। তারপরে সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
যদিও, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক-সহ একাধিক রাষ্ট্রে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ রকম করে দেওয়ার আইন রয়েছে। তবে এই পদ্ধতি ইসলামের পরিপন্থী হওয়ায় শেষপর্যন্ত তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।