প্রয়াত হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাংবাদিক, লেখক, সমাজকর্মী তারেক ফাতাহ। বয়স হয়েছিল ৭৩। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন রোগভোগের পর সোমবার তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ক্যানসারে ভুগছিলেন তারেক। যিনি ইসলামি মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের কট্টর বিরোধী ছিলেন। সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কট্টরপন্থীদের রোষানলে পড়েছেন। নিজেকে ‘হিন্দুস্তানের সন্তান’ বলতেও কুণ্ঠা করতেন না। শুধু তাই নয়, হামেশাই বিজেপি সরকারের প্রশংসাও শোনা যেত তাঁর গলায়।
সোমবার টুইটবার্তায় তারেকের মেয়ে নাতাশা বলেন, ‘পঞ্জাবের সিংহ, হিন্দুস্তানের সন্তান, কানাডার প্রেমিক, সত্যের , ন্যায়ের জন্য লড়াই চালানো, গরিব ও নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর ছিলেন (তারেক ফাতাহ)। নিজের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন তারেক ফাতাহ। তবে তাঁকে জানতেন এবং তাঁকে ভালোবাসতেন, তাঁদের মাধ্যমে সেই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: হিজবুলের শীর্ষ জঙ্গি নেতা পাকিস্তানে! কাশ্মীরে ছেলেদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল NIA
তারেক ফাতাহ কে ছিলেন?
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৪৯ সালের ২০ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারেক। ষাট এবং সত্তরের দশকের বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেইসময় দু'বার বন্দীও করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু করেছিল জেনারেল জিয়া-উল-হক। শুধু তাই নয়, তাঁকে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেও দেওয়া হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে আশির দশকে কানাডায় চলে গিয়েছিলেন তারেক। সেখানেই তারেক থাকতে শুরু করেছিলেন।
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, নব্বইয়ের দশকে ইসলামি মৌলবাদীদের কট্টর বিরোধিতা করতেন তারেক। সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কট্টরপন্থীদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন। সেই সংক্রান্ত একাধিক বইও লিখেছিলেন। যিনি নিজেকে বলতেন, 'আমি একজন ভারতীয়, যে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছে।' তারেক হামেশাই বলতেন যে নিজের ভারতীয় মূল নিয়ে অত্যন্ত গর্ববোধ করেন।আদতে রাজপুত পরিবারের সদস্য ছিলেন। ১৮৪০ সাল নাগাদ তাঁদের পরিবারকে ইসলামে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)