‘নিখোঁজ’ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তথা জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল পাকিস্তান সরকার।
২০২০ সালে পাক কূটনীতিকরা ফাইন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-কে (FATF) জানিয়েছিলেন যে, নিখোঁজ থাকার কারণে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। যদিও সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে ভারত জানিয়েছিল যে, ভাওয়ালপুরের রেলওয়ে লিঙ্ক রোডে জইশের বুলেটপ্রুফ প্রধান দফতর মরকজ-ই-উসমান-ও-আলিতেই পাক সরকারের আশ্রয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন মাসুদ আজহার।
এর জেরে ইসলামাবাদকে তখন থেকেই সন্দেহের চোখে দেখে আসছে FATF, যার জেরে IMF-এর মতো আন্তর্জাতিক ঋণদায়ী সংস্থার থেকে ঋণ পেতে সমস্যার মুখে পড়েছে পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার। এ দিকে বিরোধীদের নিরন্তর চাপের মোকাবিলা করতে পাক অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য ঋণ নেওয়া ছাড়া বিশেষ উপায়ও হাতে নেই ইমরানের।
ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে গ্রেফতানি পরওয়ানা জারি এবং লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান কম্যান্ডার জাকি-উর-রেহমান-লখভিকে গ্রেফতারের মতো পদক্ষেপ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আমেরিকায় আসন্ন জো বাইডেন সরকারের সঙ্গে আর্থিক সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন করার উদ্দেশে FATF-এর সন্দিগ্ধ নজর এড়াতে এবার কোয়েটায় আফগানিস্তানের তালিবান শুরা গোষ্ঠীকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে ইসলামাবাদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও পর্যন্ত আজহার ও লখভি উভয় সন্ত্রাসবাদী নেতার বিরুদ্ধে নাশকতা ও খুনের অভিযোগ আনেনি পাকিস্তান। পরিবর্তে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্য করার মতো তুলনায় লঘু অপরাধের অভিযোগ।