মাথার উপর ঝুলছে অনাস্থা প্রস্তাব। এরই মাঝে নিজের দলের সাংসদরাই পাল্টি খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি কর হয়েছে বৈঠকে আসন্ন ওআইসি সম্মেলন, বালোচিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আসন্ন অনাস্থা ভোট নিয়ে আলচোনা হয়েছে সেনা প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এদিকে এর আগেই সেনা প্রধান জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের রাজনীতিতে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। সাধারণত পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনা বড় প্রভাব খাটিয়ে থাকে। এমনকি পাকিস্তানের ইতিহাসে বহু সেনা প্রধান নিজেরাই রাষ্ট্রপ্রধান হন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। তবে এবারের পরিস্থিত
একটি পাক সংবাদের চ্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়, ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর অধিকাংশ নেতা এই বৈঠকের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।’ উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং দুর্বল বিদেশ নীতির অভিযোগে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের দাবিতে বিরোধী দলগুলি জোটবদ্ধ হয়েছে। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ব্যানারে বিরোধী দলগুলি সমাবেশ করেছে দেশজুড়ে। এদিকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-এর বহু সংসদ সদস্যও ‘বিবেক’-এর তারণায় নিজেদের দলের বিরুদ্ধেই ভোট দিতে চলেছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ইমরান খানের নিজের দলেরই ২৪ জন সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছেন। এর পর থেকে ইমরান সরকারের সমস্যা আরও বেড়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই সংসদ সদস্যরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিতে পারেন। আগামী ২৮ মার্চ ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে এই ডামাডোলের মধ্যেই মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়দা (পিএমএল-কিউ) বর্তমান সরকারকে বাঁচাতে ইমরান খানের পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী করার একটি প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। এই আবহে সরকার টিকিয়ে রাখা ইমরানের জন্য খুবই কঠিন হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।