ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতকে বিশেষ ছআড়ে জ্বালানি তেল বিক্রি করে চলেছে রাশিয়া। আমেরিকা বা ইউরোপের দেশগুলির আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে জাতীয় স্বার্থে রাশিয়ার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেছিলেন যে ভারতের রেটে যদি রাশিয়া জ্বালানি বিক্রি করতে চায় তাহলে পাকিস্তানও তা কিনবে। সেই মতোই ডিসকাউন্টে তেল কিনতে চেয়ে রাশিয়ার কাছে আবেদনও করেছিল পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে দিল মস্কো।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার কাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ডিসকাউন্টে জ্বালানি তেল কিনতে চেয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদ্দেক মালিক, পেট্রোলিয়াম সচিব মহম্মদ মাহমুদ মস্কোতে একটি বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা রাশিয়ার থেকে ডিসকাউন্টে তেল কিনতে চায়। তবে সেই দাবি মানেনি রাশিয়া। যদিও মস্কোর তরফে নাকি বলা হয় যে, আবেদন খতিয়ে দেখে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়া যে বিশেষ ছাড়ে তেল বিক্রি করছে, তা শুধুমাত্র বড় বড় দেশকেই দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সেই দেশগুলির অর্থনীতি স্থিতিশীল কি না, তা খতিয়ে দেখেই তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। সেখানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব করুণ। এই আবহে রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের কাছে তেলের যা অর্ডার আছে, তার বাইরে এখন তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি পাকিস্তানকে পালটা ‘স্ট্রিম গ্যাসলাইন প্রোজেক্টে’র প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বলে রাশিয়া। এদিকে এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করার জেরেই গদি খোয়াতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন ইমরান খান। এই আবহে শেহবাজের সরকারও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছে। তবে ওয়াশিংটন বলেছে, পাকিস্তান রাশিয়া থেকে তেল কিনলে তাদের কোনও আপত্তি নেই।