সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গড়ে সস্তার যুদ্ধ লড়া যে আর সম্ভব নয়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আর বালাকোট বিমানহানার সুবাদে পাকিস্তানকে সেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত, শুক্রবার এই মন্তব্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এ দিন নয়াদিল্লির এক সম্মেলনে রাজনাথ বলেন, ভবিষ্যতে কোনও হঠকারিতা করতে গেলে পশ্চিম প্রান্তের বৈরী প্রতিবেশীকে একশো বার চিন্তা করতে হবে।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে পাক আশ্রিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হওয়ার পালটা হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে বায়ুসেনার অতর্কিত আক্রমণে গুঁড়িয়ে যায় জঙ্গিদের গুপ্তঘাঁটি।
এর আগে ২০১৬ সালে কাশ্মীরের উরিতে পাক জঙ্গি হানার পরে ২৯ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তঘেঁষা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকভূমিতে ঘাঁটিগাড়া সন্ত্রাসবাদী শিবিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনা।
এ দিন রাজাথ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় আমাদের পদক্ষেপ সবসময়ই ছিল এবং থাকবে নিখুঁত সামরিক উদ্যোগ এবং পরিণত কূটনৈতিক চালের এক সুচিন্তিত মিশেল হিসেবে।’
তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যে কোনও রকম আশঙ্কার মুখোমুখি হতে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করেছে সরকার। পুলওয়ামা পরবর্তী সময়ে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি ও সুরক্ষিত রাখার ক্ষমতাকে সুনিশ্চিত করেছে।
এ দিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের উপরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোড়া চাপের কী ফল হতে পারে, আমরা তা দেখেছি। হাফিজ সঈদের মতো সন্ত্রাসবাদীকে এতদিন ভিআইপি ও বীরের মর্যাদা দেওয়ার পরে এখন হাজতে পুরতে ওরা বাধ্য হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, পাকিস্তানের কাছে জবাবদিহি না করলে তারা আগের মতোই দু-মুখো ও ঠকবাজির নীতি চালিয়ে যাবে। তাই সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে ওদের চাপে রাখার জন্য।’
এ দিনের সম্মেলনে বক্তব্য রাখোন চিফ অফ আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদাউরিয়া।