বিহারের সুপৌল জেলায় ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ। আর সেটাও একেবারে হাইপ্রোফাইল সেতু। কোশী নদীর উপর সুপৌল জেলার বকৌর থেকে মধুবনী জেলায় ভেজার মধ্যে যে সেতুর নির্মাণ করা হচ্ছিল, তা দেশের দীর্ঘতম সড়ক সেতু। মরিচার কাছেই ওই নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেতুর ৫০ নম্বর পিলার, ৫১ নম্বর পিলার, এবং ৫২ নম্বর পিলারের গার্ডার ভেঙে পড়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে। সেই পরিস্থিতিতে চাঙড়ের তলায় কমপক্ষে ৪০ জন আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ যখন সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে, তখন ৪০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। যদিও সরকারিভাবে আপাতত সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তারইমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে পুলিশ। শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুপৌল জেলাশাসক কৌশল কুমারকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে আপাতত একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কমপক্ষে নয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুপৌলের জেলাশাসক।
আর পুরো ঘটনায় সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে যে সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত ওই সেতু বেশ হাইপ্রোফাইল ছিল। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে যৌথভাবে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা মূল্যে ১০.২ কিলোমিটারের সেতুটি নির্মাণ করছে। গ্যামন ইন্ডিয়া এবং ট্রান্স রেল লাইটিং লিমিটেড।
প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালেই ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য ডেডলাইন পিছিয়ে দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ হয়ে যেত। কিন্তু শুক্রবার সকালে যে ঘটনা ঘটল, তাতে ওই সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা দুষ্কর হবে। বিশেষত পুরো প্রকল্প নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে।
তবে বিহারে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। গত বছর জুনেই ভাগলপুরে একটি নির্মীণমাণ সেতু ভেঙে পড়েছিল। তার আগে ২০২২ সালের এপ্রিলেই ভেঙে পড়েছিল ওই সেতুটিই। তারপর ফের ১৪ মাসের মাথায় দ্বিতীয়বার ওই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল।