এবার একেবারে ভুয়ো কোভিড টেস্টের পর্দাফাঁস। বিহারের প্লাসমা ডায়গনস্টির সেন্টারে অভিযান চালিয়েছিল পটনা জেলা প্রশাসন। সেই সেন্টার থেকে প্রচুর সংখ্য়ক ভুয়ো আরটিপিসিআর কোভিড রিপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূলত বিমান যাত্রার আগে এই ধরনের রিপোর্ট দাখিল করা হত বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর সম্প্রতি এয়ারপোর্ট অথরিটি চিঠি দিয়ে এব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল। এই ধরনের চক্র জেলায় চলছে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আসলে রাজাবাজার ল্যাব থেকে এই ধরনের একটি ভুয়ো রিপোর্ট সংগ্রহ করে এক যাত্রী বিমানবন্দরে দেখিয়েছিলেন। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে এরপরই কলকাতা, পুনে, মুম্বইগামী একাধিক যাত্রীকে আটকে দেওয়া হয়। এরপরই পটনার জেলাশাসক একটি তদন্তকারী টিম তৈরি করেন। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
রাজাবাজার এলাকার ওই ল্যাবে অভিযান চালিয়ে প্রচুর অবৈধ নথি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ল্যাবের একাধিক কর্মী স্বীকার করেন জরুরী ভিত্তিতে যাদের রিপোর্ট দরকার তারা টাকার বিনিময়ে এই রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিলেন। এক্ষেত্রে টেস্ট না করিয়েই নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। একটি রিপোর্টের জন্য ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ল্যাবের নামে তৈরি কিউআর কোড ছাড়াই এই ধরনের একাধিক রিপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু রিপোর্টে কিউআর কোডও রয়েছে। তদন্তকারীরা দেখেন এই কোডগুলিও ভুয়ো। আসল আধার কার্ড সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত গত ২৬শে জুলাই উত্তরাখণ্ডের চেকপোস্ট থেকে এই ধরনের ভুয়ো রিপোর্ট সহ বিহারের চার বাসিন্দাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।