গবেষণার সময় নানা বিষয় বেছে নেওয়ার বিকল্প থাকে এক পড়ুয়ার কাছে। তেমনই একটি বিকল্প ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং, নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁকে নিয়েই এবার গবেষণা করে তাক লাগিয়ে দিলেন বারাণসীর এক গবেষক। তাঁর পিএইচডি-এর বিষয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানও তা নানা সময় স্বীকার করেছেন। বারাণসীর বাসিন্দা নাজমা পারভিন সেই নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বহুদিন ধরে। (আরও পড়ুন: X, Meta-কে তুলোধোনা কেন্দ্রের ! ডিপফেক কাণ্ডে কড়া বার্তা মন্ত্রী রাজীবের)
প্রসঙ্গত, নাজমাই ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর পিএইচডি শেষ করলেন। মোদীর রাজনৈতিক জীবন এবং তাঁর সংগ্রামের কাহিনিই এই পিএইচডি-এর কেন্দ্রে রয়েছে। নাজমার গবেষণায় উঠে এসেছে মোদীর উত্থানের কাহিনিও। আসলে এই সংগ্রামই আকৃষ্ট করেছিল গবেষক নাজমাকে। সংবাদমাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় শ্রীবাস্তবের অধীনে ২০১৪ সালে এই গবেষণা শুরু করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে শেষ হয়েছে গবেষণা। সংবাদমাধ্যমকে নাজমা বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে তাঁর পড়াশোনা। তাঁর গবেষণার বিষয় নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক নেতৃত্ব- একটি বিশ্লেষণাত্মক পাঠ (২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের বিশেষ উল্লেখ রয়েছে এতে)। গত ১ নভেম্বর পিএইচডি থিসিসের কাজ শেষ করেছেন নাজমা।
(আরও পড়ুন: কেউ নাগাল পাবে না আপনার আধার কার্ডের! জেনে নিন কীভাবে সব তথ্য সুরক্ষিত রাখবেন)
মোট পাঁচটি অধ্যায়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা, ব্রিটিশদের শাসন থেকে স্বাধীনতা, প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজনৈতিক জীবন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কাজ, বিরোধীদের অভিযোগ ও সমালোচনার সময়কাল, জনসাধারণ এবং মিডিয়ার সমর্থন উঠে এসেছে গবেষণায়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে থাকাকালীন মোদীর প্রতি মুসলিম সমাজের মনোভাব নিয়েও কাজ করেছেন নাজমা।
নাজমা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবন গুরুত্বপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক বলে মনে হয়েছিল। তা পিএইচডি-এর বিষয় হিসেবে বেছে নিই। কিন্তু এমন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করে নাজমা নিজেও কোনও রাজনীতির লক্ষ্যবস্তু হয়ে যেতে পারেন। সে বিষয়ে অবশ্য ভাবিত নন তিনি। নাজমা বলেছেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী হওয়ায় গবেষণার জন্য একজন রাজনীতিবিদকে বেছে নিতে হয়েছে। আমার পছন্দ অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদীকে বেছেছি। এতে যদি আমার সমালোচনা হয়, তো হোক। কিছু যায় আসে না।