প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মথুরা থেকে আশ্বাস দিলেন, সেই দিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন মথুরার মন্দিরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দিব্য দর্শন পাবেন ভক্তরা। তিনি জানিয়েছেন স্বাধীনতার পর থেকে ব্রজ এলাকাকে ঠিকঠাক করে সম্মান জানানো হত না। স্বাধীনতার পরেও যারা দাসত্বের মনোভাব নিয়ে চলত তারা খালি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে কীভাবে এই দেশকে তার শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার মথুরায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিককালে তিনি হলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূতিতে গেলেন। তিনি মথুরার রেলওয়ে গ্রাউন্ডে ব্রজরাজ উৎসবে অংশ নেন। সেখানে বিজেপি এমপি হেমামালিনী মীরা বাইয়ের জীবনের উপর তৈরি করা একটি নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি।
মীরার ৫২৫তম জন্মবার্ষিকীকে স্মরণ করে এদিনের অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী মীরা বাঈয়ের ছবি সম্বলিত একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে ৫২৫ টাকা মূল্যের একটা কয়েন প্রকাশ করেন।এটা ৫০ শতাংশ হল রূপোর।
রাধে রাধে বলে ভাষণ শুরু করেন মোদী। তিনি বলেন, ব্রজ এলাকার সবরকম উন্নতির চেষ্টা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রজ এলাকা তার সংস্কৃতিকে অটুট রাখতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পরেও সেই লড়াই চলছে। এটার মূল কারণ হল অনেকেই চান না যে এই দেশের সঙ্গে শেকড়়ের যোগ থাকুক। তারা চাইতেন না দাসের মনোভাব থেকে সকলে মুক্তি পান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার অমৃতকালে অনেক কিছুর বদল আনা হচ্ছে। বারানসীতে কাশী বিশ্বনাথ ধাম, উজ্জয়িনীতে মহাকাল চত্বর, কেদারঘাটিতে ভগবান কেদারনাথ আর রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে শীঘ্রই। তিনি বলেন, মথুরা উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে থাকবে না। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের দিব্য় দর্শন করা যাবে। ব্রজতীর্থ বিকাশ পরিষদ মথুরার উন্নয়নের জন্য় সবরকম চেষ্টা করছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশ্রীর্বাদে সব সংকল্প একদিন পূরণ করা যাবে। তিনি বলেন দেশ যখনই সংকটে পড়ে তখনই দেশের এক প্রান্ত থেকে অনুপ্রেরণার জন্ম হয়।