করোনা, তার জেরে লকডাউন, তার ফলে আর্থিক দুর্গতি। কিন্তু কোনও কিছুতেই কমছে না নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা। সারা দেশ জুড়ে, এমনকী অ-বিজেপি রাজ্যেও মোদী সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। রাহুল গান্ধী থেকে ভূপেশ বাগেল, মমতা থেকে অখিলেশ, অধিকাংশ দুঁদে রাজনীতিবিদরা অনেকটা পিছিয়ে প্রধানমন্ত্রীর থেকে, এমনকী নিজেদের রাজ্যেও। সি-ভোটার ও আইএনএস সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সারা দেশে মোদীর জাতীয় অ্যাপ্রুভাল রেটিং ৬৫.৬৯ শতাংশ।
মোদী সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রেটিং পেয়েছেন হিমাচল প্রদেশে। সেখানে ৯৫ শতাংশ মানুষ তাঁর কাজে খুশি। ৯০ শতাংশের ওপর রেটিং প্রধানমন্ত্রীর দুই বিরোধী রাজ্য ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ে। বিরোধী শাসিত পঞ্জাব ও রাজস্থানেও গড়ে ৬৮ শতাংশের ওপর মানুষ মোদীর কাজে সন্তুষ্ট।
কিছুটা হলেও দক্ষিণ ভারতে ম্লান মোদী ম্যানিয়া, যেখানে বিজেপি অনেকটাই দুর্বল। কেরালা ও তামিলনাড়ুতে তাঁর কাজে ৩২ শতাংশ মানুষ খুশি। এই দুই রাজ্য বাদ দিলে আসমুদ্রহিমাচল মোদীর কাজে সন্তুষ্ট ৫০ শতাংশের ওপর মানুষ।
ইউপিএ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাজে সন্তুষ্ট গড়ে ৫৭.৩৬ শতাংশ মানুষ যা মোদীর জনপ্রিয়তার থেকে প্রায় আট শতাংশ কম। পশ্চিমবঙ্গে মোদীর কাজে খুশি ৬৪.০৬ শতাংশ মানুষ যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৫২.০৬) রেটিংয়ের চেয়ে অনেকটা বেশি। ছত্তিসগড়ে মোদীর কাজে খুশি ৯২.৭৩ শতাংশ মানুষ, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের কাজে সন্তুষ্ট ৮১.০৬ শতাংশ মানুষ। তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে মোদীর চেয়ে পাঁচ শতাংশ এগিয়ে উদ্ধব ঠাকরে।
পরিযায়ী সমস্যা যেখানে সবচেয়ে বেশি সেই বিহার ও উত্তর প্রদেশে মোদীর কাজে খুশি যথাক্রমে ৬৪.০৬ শতাংশ মানুষ ও ৬৭.০১ শতাংশ মানুষ।
সারা দেশে ৩০০০ মানুষকে প্রশ্ন করে এই সমীক্ষার ফলাফল তৈরী করেছে সি-ভোটার।